“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

হাংরি জেনারেশন


 জাতীয় নিরাপত্তা’ বলতে বুঝি জীবন ছাড়া
 বিবেকের কাছে বেঁচে থাকার বিনিময় প্রথা 
 এবং যে কোন কিছুর জন্য অন্ধ ‘হ্যাঁ’ হয়ে থাকা
 অশ্লীল বলে বিবেচিত হওয়া মনে,
অনুকূলতার সামনে সেজদা করতে শেখেছে
‘জাতীয় নিরাপত্তা’ বিপন্ন লবণাক্ত ঠোঁটে।
 'সবচেয়ে বিপজ্জনক' কথা
 শ্রম লুট শ্লোগান ধরেছে ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
 এমনকি লোভ থেকে বিশ্বাসঘাতকতা
 আর কোনো সতর্কতা ছাড়াই গ্রেফতার
 এতোটা ভয়ঙ্কর হয় না
 নীরবতা ভয় পায় যতটা।

নিজের ভিতর থেকে
পৃথিবীর সভ্যতায় গজিয়ে ওঠা ধাবমান ট্রেনগল্পে
ইন্টেলিকচ্যুয়েল বার্তাজীবি লিখছে 'ঘুম পাড়ানি মাসিপিসি মোদের বাড়ি এসো'।
 ক্ষীণ কৃমির আলোয় পড়া
 ভ্রুকুটি নিয়ে জীবনের মধ্য দিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে ভালো নয়,
 তবু স্বমূত্র গোমূত্র স্নানজল পান করা ফোবিয়া
 নিজের জন্য নিষ্ক্রিয়তায় কমিয়ে দেয় 
 ইচ্ছা তীব্রতার অভাবে।

সবকিছু সহ্য করতে
রুটিনের প্রাণী হয়ে ওঠা স্বপ্ন- মৃত্যু
ক্লান্ত ঝোকা কাঁধে 'উলঙ্গ রাজার কলিং বেল বাজায়
শব্দ আসে - হাংরি জেনারেশন।

কোন মন্তব্য নেই: