একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীই ফুবিংয়ে ভুগছেন এবং শুধুমাত্র তাদের স্মার্টফোনের জন্য তাদের সঙ্গী, পিতামাতা এবং তাদের আশেপাশের লোকজনকে উপেক্ষা করছেন। এক গবেষণায় এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।
হায়দ্রাবাদের তরুণদের মধ্যে পরিচালিত একটি গবেষণায় উদ্বেগজনক ফলাফল এসেছে। এই অধ্যয়নের সহ-লেখক এবং হায়দ্রাবাদের ইএসআইসি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সুধা বালা তার গবেষণায় বলেছেন, 'হায়দ্রাবাদের যুবকদের মধ্যে মানসিক যন্ত্রণার উপর ভয় দেখানোর পরিণতি' এটি বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে তাদের সম্পর্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
'ফুবিং' শব্দটি হল 'ফোন' এবং 'স্নাবিং'-এর একটি পোর্টম্যানটো— তার অর্থ দাঁড়ায় অন্যের দিকে মনোযোগ না দিয়ে নিজের ফোনে ব্যস্ত থাকা। দুটি শব্দের সংমিশ্রণ এবং এটি একটি প্রচারণার অংশ হিসাবে ২০১২ সালে একটি অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞাপন সংস্থা তৈরি করেছিল যা পরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
২০১৮ সালে ICMR-এর সহযোগিতায় শহরের ডাঃ বালা, ধরনি টেককাম এবং হর্ষল পান্ডাওয়ে এই গবেষণাটি চালু করেছিলেন। তারা ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন এবং কলা বিভাগের মোট ৪৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে গবেষণাটি পরিচালনা করেন।
সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে যে শহুরে যুবকদের মধ্যে ফুবিংয়ের প্রবণতা বেশি, তাদের মধ্যে ৫২ শতাংশই ফুবিংয়ে নিমগ্ন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে, ২৩ শতাংশ ফুবিংয়ের ফলে গুরুতর মানসিক যন্ত্রণার সম্মুখীন হয়েছিল, যখন ৩৪ শতাংশের মাঝারি মানসিক যন্ত্রণা ছিল। এটি বলেছে, ফুবিংয়ের পরিমাণ এবং মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে একটি পরিসংখ্যানগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পাওয়া গেছে।
অনেক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে, ফুবিং গেমিং আসক্তিতে পরিণত হতে দেখা গেছে। শহরের একটি হাসপাতালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৪ বছর বয়সী একটি ছেলে দশম শ্রেনীর পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি সত্ত্বেও অনলাইন গেম খেলে দিনে ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যয় করে।
যাইহোক, এই ফুবিং কিশোর বা তরুণদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় রেনোভা হাসপাতালের কনসালটেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট এবং সাইকোঅ্যানালাইটিক সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ আসফিয়া কুলসুম বলেন, কখনও কখনও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ফুবিং পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, অনেক উদাহরণ রয়েছে যে স্ত্রীরা তাদের ফোনে বেশি সময় ব্যয় করে তাদের স্বামীদের সাথে দাম্পত্য কলহের দিকে নিয়ে যায়। সংক্ষেপে শুধু এটাই বলা যায় যে, ফুবিং আধুনিক মানুষকে গ্রাস করতে শুরু করেছে। এর আগে থেকে এর প্রিকিউশন অবলম্বন না করলে অদূরে মানসিক বিকারগ্রস্থতার স্বীকার অনিবার্য।
(নীচের এই লিংকে ক্লিক করে আরও পড়তে পারেন)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন