“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২

বীতশ্রদ্ধ মা

।। মিঠুন ভট্টাচার্য।। 
 
















কান্নার ভাষা নেই
শুধুই বাঁচার তাগিদ।
জলের নাম জীবন বইতে লেখা ছিল
উপলব্ধি অনেকের ছিল না।
আবার অনেকের ধারণা ছিল টাকা দিয়ে মিনারেল
ওয়াটার বোতল ভুরি ভুরি মেলে বাজারে।
আজ সেই টাকা ব্যাঙ্কে গড়াগড়ি খায়,
জল কেনার না আছে পয়সা, না দোকানী
না কোন বিলাসী গাড়ির ডিকি।
নেই এম্বুলেন্স, নেই কিছু
না আছে স্বর্গরথ, না কোন খালি শ্মশান,
চারিদিক জুড়ে আর্তনাদ।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের বোমায় বেঁচে যাওয়া লোক
জীবনে থেকে জীবনের আর্তি শুনছে নিজে।
প্রিয়জনকে বুকে আগলে গলাজলে ভেসে, কাঁধে তুলে
পথ হাটা ডাঙার জলস্রোতে।
আমি যদি মানুষের দেবতূল্য হতাম
হয়ত থেমে যেতে এই প্রলয় ধ্বংস ।
আমি শুধু প্রকৃতি সৃষ্ট এক জীব।
ভুলে আছি আমার নাড়ির ইতিহাস, বিজ্ঞান
তাই মায়ের এমন রূদ্ররূপ। 

কোন মন্তব্য নেই: