“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

মশা

।। অভীককুমার দে।।

বিরোধী কাউন্সিলার বা বিরোধী নেতার এলাকা বলে সেখান থেকে মশা বেরোবে না, এটা হতে পারে না। আবার শাসক দলের এলাকা বলে দাপিয়ে বেড়াতে পারবে না, এটাও কথা নয়। শাসক দলের এলাকার মশা কি বেঁধে রাখতে পারছেন ? মশাদের যা বার বেড়েছে !

যদিও মশাদের তেমন কোনও দোষ আমি দেখি না। কেননা, মশারাও গণতান্ত্রিক দেশের নোংরা ডোবা নালা বা সংরক্ষিত জলেই জন্মাচ্ছে। সাধারণ তন্ত্র মন্ত্র ওরা তেমন বোঝার কথা নয়।

মশারা ভালোবাসা বোঝে না। হাততালি ছাড়া ভালো ভাষা বোঝে না। হাতিয়ার চালাতে জানে। রক্ত চুষতে জানে। এদের সর্বজাতের সর্বশেষ শিক্ষায় শিক্ষিত করে ফেললেও আচরণ বদলাবে না। কারণ, মশারা গণদেবতার দেশে ক্ষুধার পেটে জন্মায়।

এই মশাদের গান পৃথিবীর সবচেয়ে আতঙ্কের গান হলেও বাধ্যতামূলক হাততালি দিতেই হবে। তা না হলে, মশারির মতো ডিটেনশন ক্যাম্পেই কেটে যাবে জীবন।

কোন মন্তব্য নেই: