“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

দেয়াল ঘড়ি

।। অভীককুমার দে।।

রাজা ও প্রজার মাঝে একটি দেয়াল আছে
পিঠ পেতে রাখেন প্রজা
রাজা পেরেক ঠোকেন
ঝুলিয়ে রাখেন ঘড়ি।

যদিবা গদির কাছে নত হয় সিংহাসন
প্রজাও অতি সাধারণ হতে থাকে যদি
বারবার কাঁটা ঘুরে ফিরে আসে রাজার সময়
ঘড়ির পিঠে অসহায় পিঠ, রক্তনদী
রাজা ঘড়ি দেখে বদলে নিতে পারেন ক্ষত এবং
ইচ্ছেমত পেরেক ঠোকেন জনগণের পিঠে।

প্রজার কাছে প্রতিরোধের কী আছে ?
জেগে ঘুমানোর ওষুধ পেতে পারেন বিনামূল্যে
না হয় শব্দ বন্ধ হয়ে যাবে নিঃশব্দে।

আসুন, ডি জে শুনে প্রার্থনায় বসি
একদিন আয়ু বৃদ্ধি হলে
মিছিল হবে
চেনা অচেনা লোকের মৃত্যু দেখে
মোমবাতি হেসে জ্বলবে, অন্ধকার
হাত পা ছড়াবে নপুংসকের দল।

ওদের পায়ে পা মিলিয়ে অভিযোজিত হবে মানুষ !

কোন মন্তব্য নেই: