“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

ইদানিং

।। সুনীতি দেবনাথ।।

 
(C)Image:ছবি














দানিং কবিতা নিয়ে ঝুটঝামেলায়
হাসবো না কাঁদবো ভেবে পাইনা মোটেই
ইদানিং কবিতার ভাবনায় দেহ মন নষ্ট
এতো সংকীর্ণ চলাচল
অজান্তে বিক্রিবাট্টা
বসতভিটে লাউমাঁচা তুলসীতলা
অন্দরের বৌ ঝিদের একান্ত পুকুরঘাট
মেয়েলি শরীর জননী জায়া ভগ্নি কন্যার।
ইদানীং অস্তিত্বের লড়াইয়েও
কবি কবিতার বিক্রিবাট্টা।
শঙ্খ ঘোষ সিনা উঁচিয়ে চলার 
মন্ত্রগুপ্তি শিখিয়েছেন এই সেদিনও
তাকিয়ে আছি আপনার দিকে
কী বলবেন আপনি বলে ফেলুন
সৎ আর সিদ্ধ কবি কি বিক্রি হতে পারেন
আপাত সন্ধির শর্তে মুচলেকা কবি দেবেন.?
ইদানীং আমার হৃদপিণ্ডের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপে
বিঘ্ন কিছুটা ঘটছেই, বিশুদ্ধ অবিশুদ্ধ রক্ত  অনুপাতে বেমিল।
সারি সারি লাশেরা অন্তহীন রক্তের ঘূর্ণিস্রোতে
আছাড়ি পিছাড়ি খায়, আগুন জ্বলে শহর বস্তি গ্রামে
এতো রক্ত, এতো বিনষ্ট প্রাণ, এতো ধর্ষিতার দৃষ্টির ঘৃণা!
এখন আমি ইনসোমনিয়ার শিকার,
সারাটা রাত অন্ধকার কালো রাত
চোখ বুজলে রক্ত আগুন ঘৃণা ক্ষুধা পাশবিকতার রাত
এই আমার নষ্ট স্বদেশে তবু
বিশুদ্ধ স্বপ্নের কচি চারা পুঁতে যাবো
এসব কথার কথা বা খাঁটি বাতেল্লাবাজি
ভাবার কারণ নেই, ইদানীং আমি দুঃসাহসী।
কাজরী,
২০ মার্চ, ২০১৬
© সুনীতি দেবনাথ

কোন মন্তব্য নেই: