“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩

ইন্দিরা ওভারব্রীজ


[নির্মল চৌধুরীর লেখা ' আধা শতক প্রাচীন উপন্যাস 'ইন্দিরা ওভারব্রীজ'  এবং ঔপন্যাসিকের সম্মানে  এই কবিতাটি লিখেছেন কবি সঞ্জয় চক্রবর্তী ডিগবয় থেকেই প্রকাশিত 'স্বর ও স্বরলিপি'তে ( বলাকা আয়োজিত উত্তর পূর্বাঞ্চল বাংলা কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, ২০১৩র স্মরণিকাতে ) ]



মাদের ময়লা আলোয় আমরাই উজ্জ্বল
আমাদের ভাঙা ঘর দুয়ারে আমরাই রাজা।

এই তো টুক করে নেমে পড়েছি মায়ের কোলে
এই তো দেশ আমার...সুজলাং সুফলাং।
ধুলো মাখো, মাখো আরো মৃত্তিকা জননী
আমি মায়ের মলিন ধুলোর আদরাকাঙ্খী
মুখে ফুটে উঠেছে যে 'মা' ডাকটি বাংলা ভাষায়
সেতো উজ্জ্বল আলো উত্তর পূর্বে, গর্বে।

ডিগবয়ে বিদ্যুৎ আছে কি, আছে তার চাবুক
কোন সে ভালোবাসায় কীসের টানে
নির্মল আনন্দে, নির্মল প্রাণ, নির্মল আঙুলে
লিখে চলেছেন, ইন্দিরা ওভারব্রীজ
ইন্দির, সে কি আকারহীন  ঠাকুরুন সত্যজিতের
জওহরলালের তনয়া, লালগোলাপের কণ্টক আলোয়
শিশুটি হাত পা ছুঁড়ে শুধু, কাঁদে আর ঘুমিয়ে কাদা হয়
সে কি জানে, লণ্ঠনের নরম আলোয়
একা, নির্জনে , ভালোবাসার অনন্ত ধারায় ভিজে যেতে যেতে
এক অসম্ভব প্রাণ লিখে চলেছেন
তার ভবিষ্যৎ, তার উত্তরাধিকার, তার জড়ানো বাংলাভাষায়

আমাদের ময়লা আলোয় আমরাই উজ্জ্বল
আমাদের ভাঙা ঘরদুয়ারে আমরাই রাজা।



From Kather Nouko Covers

কোন মন্তব্য নেই: