“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১

এখন আমি...

কটানা চেয়ারে বসে বই-পত্তর খাতা-কলম ঘেঁটে আরও একটা রাত বিনষ্ট হোক চাইনা আমি আজকে । আমি টেবিলে অথবা ঘরের ছাঁদে উঠে বসতে পারি। আমি প্রতিরাত্রের মত নিচের দিকে না চেয়ে আকাশমুখি হতে পারি যেমন বৃক্ষেরা সব দাঁড়িয়ে আছে, দেখে নিতে পারি মহাশূন্য কোন পথে হয়েছে সুনীল, সুরের নিস্তব্ধতা ক্রমাগত কিভাবে জমাট বেঁধে গড়েছে এক একটি আকাশ, জ্বলজ্বল তারা এবং কৃষ্ণ-গহ্বর। ... ... আমার একঘেয়ে গেরস্থালি প্রসারিত করে মালিকানা বাড়িয়ে দেই ভোরের হওয়ায় কিংবা ঐ সদ্য ফোঁটা কুসুমে পল্লবে,আমার আয়না দেখার অভ্যেসকে বদলে নিয়ে চোখ মেলে বসে থাকতে পারি সাগরের পাশে।এখন আমি কোন সুদর্শনা নারীর কাছে নতজানু নাহয়ে দেখে নেবো সব মাঠ কেমনে ফলায় ফসল।

কোন মন্তব্য নেই: