“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১১

ইতিহাস











বিতা লেখার আগে ইতিহাস-বই খুলে বসি ।
দেখি তার গলায় ঝোলানো মুণ্ড, মানুষের।
মুখে অট্টহাসি । হাতে রক্ত-ঝরা খড়্গ ধরা ।
লজ্জিত জিহ্বাগ্র বাইরে, যেন শালীনতা।
পায়ের নীচেতে কাটা মানচিত্র , ভাঙা তেল-শিশি ।
ওই মানচিত্র ধরে চলে আসি ভূগোল-বইয়ের কাছাকাছি ।
দেখি তার, কাঁটাতার, চলে-যাওয়া আর অন্য দেশ,
রেল-ঝমাঝম পথে বাউলের অন্তর্যামী গান ।
ওই গান পৃথিবীর কাঁটাতার মানে না হে
ঈশ্বর যে দেশে নেই, ওই গান সে দেশেও যায় ।
কবিতা লেখার আগে গান শুনি, ইতিহাস গানেতে জড়ায় ।

 ~~~~~0000~~~~~

এ কবিতা এখানেও পড়তে পাবেনঃ ইতিহাস:

কোন মন্তব্য নেই: