“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১১

নতুন দিনের আশায়





পৃথিবী নিথর হয়ে উঠছে  জানি,
জানি আজ  আকাশে অশ্রু, বাতাসে  বিষাদ,   ।
তবু আমি  মনে প্রানে শুষে নিতে চাই ,
একফোঁটা জীবন।
একমুঠো হাসি, এক মুহূর্ত স্বপ্ন।
তাইতো আজও আকাশে চাঁদ উঠে,
 প্রজাপতিরা রঙ ছড়ায় ,ফুল ফুটে আঙিনায় ;
সেই একই আশায়।
আবার হারিয়ে যাব তেপান্তরের মাঠে,
ব্যাঙ্গমা - ব্যাঙ্গমীদের সাথে আলাপচারিতায়।
কোনও এক উদাস দুপুরে,
 পুরাতনের চিহ্ন মাত্র , বইয়ের ছেঁড়া পাতায়,
স্পষ্ট হয়ে উঠবে সরল ইতিহাস,  
হাতের রেখার আঁকা-বাঁকা পথের অন্তরালে  ।
 ছোট্ট জামায় জড়ানো  শীতের সকাল,
লাল ঝুটিতে বাঁধা রঙিন বিকেল।
 জেগে উঠবে, পুতুলের জন্মদিনের অর্থহীন উচ্ছাস।
ফিরে আসবে আবার গল্প শোনা রাত,
তারা গুনার ব্যস্ততা, নির্মেঘ আকাশ, ঘুমের গান।
রাত পোহালেই নতুন দিন, 
ঝিঁ-ঝিঁ  পোকারা  ব্যস্ত হয়ে উঠে সূর্য  বন্দনার সমবেত সুরে।