“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯

জীবন ও জয়

।। অভীককুমার দে।।


(C)Image:ছবি


জয়, জন্মের পর প্রতিটি জন্মদিন অনেকটা দেশরাই পাড়ার গাছতলায় বুড়ো দোকানদারের চায়ের মতো। পুরনো কৌটার চিনি, দুধ, চা পাতা মিশে পুরনো কেটলিতেই সেদ্ধ হয়, অথচ হুঁকো টানতে আসে লোক।

এক পেয়ালা দিনটি মনে করিয়ে দেবে সময় পুড়ে সবুজ পথে রঙিন হয় মন এবং বেলা হেঁটে যায় সান্ধ্য প্রদীপের দিকে।

প্রতিটি রাত এলে বোঝা যায়, প্রদীপ বলে কিছু নেই। জড়িয়ে থাকা অন্ধকার ঠেলতে ঠেকাতে অস্তিত্বহীন জীবন, পড়ে থাকে আপেক্ষিক আলোর স্মৃতি।

স্মৃতিগুলো কেটলির বিক্রি না হওয়া ঠান্ডা চায়ের মতো। দোকানের বাইরে ঢেলে ফেলে দেওয়া চা, স্তূপের ভেতর পথ খুঁজে নেয় প্রতিদিন ! তবুও পরদিন জ্বলে ওঠে চুলা।

আমি মনে করি, জয়ের কোনও জন্মদিন পালন করা ঠিক নয়। জন্ম যদি কোনও অশরীর থেকে শরীর, যদি ছোট থেকে বড় আবার বড় থেকে ছোট'র দিকে এবং পুনরায় অশরীরের পথে হাঁটে, তবে জয় কোনও জয় নয়।

জয় আমার নিরিবিলি ভেতরের তুফান। ঝিরঝির বৃষ্টি হলেই মনে হয়, এই বুঝি দেখা হবার কথা। সামনে বহুদূর, সবুজের দিকে পথ ঘুরে যাবে। দ্বিচক্র চালে কাকতালীয় বৃষ্টি ধুয়ে নিয়ে যায় পথের ধুলো।

কোন মন্তব্য নেই: