“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯

জলোচ্ছ্বাস

।। অভীককুমার দে।।


(C)Imageঃছবি










নদীটির কাছে গেলে বুঝতে পারি
মাটি কামড়ে পড়ে থাকাই সার,
পাতা ডুবিয়ে পাড়ের গাছ...
কেঁপে ওঠে নদী, বেঁকে যায়।

নদীর নিজস্ব গতি নেই !
মাটির জরিপ,
বিবেচনার পথ উঁচু থেকে নিচু...
একদিকে উজান, প্রকৃত সুখ,
অন্যদিকে সমাবেশের জল, হৈচৈ,
পাশে পরাধীনতার দেয়াল জেগে
মাঝে জন্মের ধারাবাহিক-- মৃত্যু।

নদীর বাঁকা শরীর দেখে ফুঁসে ওঠে ঋতু
সুতরাং অনিবার্য জলোচ্ছ্বাস।

কোন মন্তব্য নেই: