“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৩

লতিয়ে আসে

   (অসমিয়া কবিতার সুপ্রসিদ্ধ কবি  হীরেন ভট্টচার্য বাংলাতেও কবিতা লিখতেন। তাঁর দু'খানা বাংলা কাব্যগ্রন্থও রয়েছে। একটি ' শিকড় থেকে পাতা অব্দি', অন্যটি 'বৃষ্টি পড়ে অঝোরে' । প্রথমটি নিজের কবিতার নিজে করা অনুবাদ ,দ্বিতীয়টিকে তিনি বলেছেন সুর না দেয়া গান। কিছু কিছু অসমিয়া ভাষার ছাপ থেকে গেছে। এই নিয়ে তিনি নিজেও সচেতন ছিলেন। কিন্তু মনে হয় না তাতে ক্ষতি বিশেষ হয়েছে। বরং বাংলা কবিতার ভাষাবৈচিত্র  তাতে বেড়েছে বলেই মনে হয়। খুব ভালো ছবি আঁকতেন তিনি। সেই আঁকিয়ে হীরেন ভট্টচার্য তুলিতে যতটা তার চাইতে বেশি মনে হয় শব্দে ছিলেন সাবলীল। প্রথম বইটি থেকে এই কবিতা কি আসলেই একটি ছবি নয়?)


(C)ছবি
















মা-র মুখের ভাষা আমার ঠোঁটে লতিয়ে আসছে,
বাতাসে উড়ে আসা শস্যশালী গন্ধ আমি যেন ছুঁয়ে দেখব,
একেক সময় মানুষ বড়োই ভালোবাসা- আকুল হয়ে পড়ে
ভাষাই শুশ্রূষা করে মানুষের মন, ভাষার একটি চুমুতে
ঝরঝর করে বয়ে আসে ভালোবাসার যমুনা...।

২০০৫

~~~~~~~~~~~০০০~~~~~~~~~
একই কবিতার অসমিয়া রূপঃ
~~~~~~~~~~~০০০~~~~~~~~~
লতা বগাই আহে

আইৰ মুখৰ ভাষা মোৰ ওঁঠেৰে লতা বগাই আহিছে,
বতাহেৰে উৰি অহা শস্যশালী গোন্ধ মই যেন চুই চাম,
একোটা সময়ত বৰ মৰম আকলুৱা হৈ পৰে---
ভাষাই শুশ্রূষা কৰে মানুহৰ মন, ভাষাৰ চুমা এটাতে
চৌ-চৌ কৰে বৈ আহে ভাল পোৱাৰ যমুনা...

( হীৰেন ভট্টাচার্যৰ কবিতাঃ১৯৫৭-২০১০)

কোন মন্তব্য নেই: