“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১২

আমরা দুবোন

 দি, তুই-আমি দুবোন ,
হতে পারতাম দুটো জোনাকি!
আঁধার রাতে এক মুঠো আলো ছড়িয়ে দিতাম,
ওল বনের শেষ সীমানায়।
অথবা হতে পারতাম দুটো পাখি,
উড়ে যেতাম সুদূরের টানে। 
আমি যখন মেঘের আড়ালে লুকিয়ে পড়তাম ,
তুই খুঁজে বের করে নিতিস কড়া শাসনে ।
আমার ছোট্ট পাখায় রোদ লেগে যায় পাছে,
সেই ভয়ে ত্রস্ত তুই , বেঁধে নিতি আমায়,
তোর পালকের  স্নিগ্ধ ছায়ায়।
মধু লোভী আমরা দুবোন ,
যদি হতে পারতাম , দুটো মৌমাছি।
ফুলে-ফুলে গুন গুনিয়ে কেটে যেত দিন।
ভালোবাসার গানে তুই ভরিয়ে দিতিস আকাশ বাতাস,
ঠিক শৈশবের মতন, আমার গলায় স্পষ্ট হতো তোরই গানের সুর।
পাগলপারা হয়ে যদি  বয়ে যেতে পারতাম,
 হতে পারতাম কাল বৈশাখী ঝড়!
উড়িয়ে নিতাম পুরাতনের আবর্জনা। 
পৃথিবীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে বেজে উঠত,
নবীনের শঙ্খধ্বনি ।  
তখন ও তুই ধরে রাখতিস আমার হাত,
বলতিস, দূরে যাসনে ওরে দস্যি মেয়ে। 
চিরচঞ্চল আমরা দু বোন, যদি হতে পারতাম বৃষ্টি ,
ঝমঝমিয়ে নেচে উঠতাম টিনের ছাদে।
শেষে দুটো ধারার মতো মিলে মিশে বয়ে যেতাম,
মরুভুমির বুক চিরে, সবুজের বন্দনাগানে। 

কোন মন্তব্য নেই: