“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১

সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে...

 
 সিক্তা বিশ্বাস
 
(C)IMage:ছবি


সংক্রান্তি নিয়া আমার এক বন্ধুর উচ্ছসিত পোস্টও আরেক বন্ধুর(সুতপা) মন্তব্যে: 'ইতা ফটো দেখিয়া আর কতো খাইতাম 😪' , পড়িয়া আমার অনুসন্ধানী মনটা সেই উৎসত পৌঁছি গেল যার উফরে এই প্রচলিত প্রবাদ, 'What Bengal thinks today India thinks it tomorrow.' যদিও ইখানো ভারত উল্লেখিত তবে আইজ বিশ্বব্যাপী এই প্রবাদ প্রযোজ্য! আজকের এই ডিজিটাল যুগও সবই কেবল দর্শনানন্দ! আগে মস্করা মারিয়া কওয়া হইতো , এরা ওতো কিপ্টা যে কইতে গেলে মাছের ছবি দেখিয়াই ভাত খাইলাইন! তবে ব্যবহার হইতো মস্করা হিসাবে! আর ওখন তো সব উচ্চ মার্গের! ছবি দেখিয়াই  ঘন্টার পর ঘন্টা চলে আনন্দ আসরের উপভোগ ও আড্ডা! সুতপার মতো প্রশ্নের উদয় প্রায় প্রত্যেকেরই হয় তবে ইটারে প্রতিষেধক হজমির মতো গিলা হয় একই ফায়দা মনও করিয়া: যাই হউক খাইয়া ওজনতো বাড়তো নায়! এই হেল্থ কনশাসনেসই আমারার 'উত্তরণ' ! অন্যজাতির কথা জানি না তবে বাঙালির এই কৃতিত্বের অধিকারী আমার মনও হয় একমাত্র সেই গোপাল ভাড় যেইন তৎকালীন দিনও দৃষ্টি-আগুন আর দৃষ্টিভোগের পরিচয় কৃষ্ণচন্দ্র রাজারে করাইছলা।হেডস অফ টু হিম। যখন তাইন রাজারে দুপুরে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করছিলা, তখন রাজা ও তান মন্ত্রীবর্গের সন্দেহ আছিল কিপ্টা গোপালের আতিথেয়তা সম্বন্ধে! প্রায় সন্ধ্যায় খুধায় যখন রাজার পেট জ্বলের তখন রাজারে দূরের দাবাগ্নি দেখাইয়া গোপালে সান্ত্বনা দিছলা, ঐ দেখইন মহারাজ চুলার আগুন জ্বলের, ওখনো রান্না শেষ হইছে না! সাহিত্যিক এস ওয়াজেদ আলির উক্তি অনুযায়ী আমরাও আইজ ছবি দর্শন করাইয়া আতিথেয়তার সেই ট্র্যাডিশন বজায় রাখিয়া চলিয়ার ! এবং ক্রমশঃ উত্তরণও আগুয়ান!

                    **************