“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২১

বাংলা কবিতা:আলাপ

আলাপ
======
ঝোড়োমেঘ
(সিক্তা বিশ্বাস) 
শিলং-৪। 

প্রকৃতি :- দেখো ঐ দূরে পাহাড়তলির নদী ---
              কেমন দোলে পাহাড়ের কোলে !
              কেমন আহ্লাদে আটখানা ! উচ্ছ্বসিত তরঙ্গিণী !  যেন কৈশোর-যৌবনের সঙ্গমে !

পুরুষ :-  ঠিক তোমার মতো !

প্রকৃতি :- তাই বুঝি ?

পুরুষ  :- এতেই তো আমার আকর্ষণ  ! সেই বাঁধ-ভাঙ্গা স্রোত ! সেই জোয়ার ! সেই মনকাড়া উচ্ছ্বাস !

প্রকৃতি :- তাঁর উচ্ছলতায় যে সর্বনাশের ছায়া ও থাকে ! ঘুরে ঘুরে , পাঁকে পাঁকে! কতো যে বিচিত্র রঙের ছবি আঁকে! কখনো তাণ্ডব কখনো লাস্য !
কখনো রৌদ্র কখনো হাস্য ! যেন এই আবেশে প্রেমিকা ! ঐ আবার দুর্বার ঝঞ্ঝা !

পুরুষ :- লীলা-খেলায় ,মান-অভিমানে কেউ নয় কারো থেকে কম! একটু এদিক ওদিক হলেই নৃত্যরত ঔদ্ধত্য ! হয় নূপুর এর ছান্দিক ছম্ ছম্! নয়তো তাণ্ডব-লাস্যের শব্দ ঝম্ ঝম্ !

প্রকৃতি:- তাই বুঝি তুমি গুরু গম্ভীর পাহাড় হয়ে চুপটি মেরে ব্যোম্ ! হয় ধ্যানরত সত্যম শিবম সুন্দরম !  নয় নৃত্যরত নটরাজম !

পুরুষ:- তাই তো সৃষ্টি ,স্থিতি ও লয় ! ওখানেই যে নৈসর্গিক মিলন ! তোমাতে -আমাতে ! একম ও অদ্বিতীয়ম ! অর্দ্ধনারীশ্বর রূপেতে ! ঠিক যেমন ঐ পাহাড়ের কোলে  নদী দোলে ,তালে মাতালে!এ যে কল্লোলিনীর খেলা আড়ালে আবডালে ! কালা-কালের ওপারে ! একালে ,সেকালে ! চিরকালে !

                    ****************
                       

  

কোন মন্তব্য নেই: