“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২১

এ কোন স্রোতে ভেসে চলা

              ।। মাসকুরা বেগম।।

(C)Image:ছবি

     

        মোঃ আসিফ ও নাজিয়ার মেয়ে নার্গিস  মাধ্যমিককে নজরকাড়া ফলাফল করেছে। মেয়ের লক্ষ্য ডাক্তার হওয়া । মা-বাবার ও ইচ্ছে তাই। তাই এখন ভালো কলেজ থেকে বিজ্ঞান শাখায় এইচএসসি করতে হবে তাকে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হল গুয়াহাটিতে ভালো একটি কলেজে ভর্তি হওয়ার। বরপেটা জিলা থেকে গুয়াহাটিতে থাকার জন্য মা-মেয়েকে ভাড়াঘরের  ব্যবস্থা করে দিলেন মোঃ আসিফ। নিজে আসা-যাওয়া করতে থাকেন সময়ে সুযোগে। তিনি বরপেটা জেলার নয়নপুর গ্রামের নয়নপুর হাইস্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক ।

       

     নয়নপুর গ্রামের আঁকা-বাঁকা মেঠো পথ, শস্য-শ্যামল মাঠ, চাষিদের কাঁদা মাখা নিষ্পাপ শিশুদের অবাধ বিচরণ - গ্রামে থেকেও কিছুই উপভোগ করেনি নার্গিস। ছোটবেলা থেকে শুধু বইয়ের সাথেই বন্ধুত্ব নার্গিসের।

      

      অনেক মা-বাবা নিজের ছেলেমেয়েদেরকে পড়াশোনায় উৎসাহিত করতে নার্গিসের উদাহরণ দেখান । মেয়েটা বরাবরই অসম্ভব প্রতিভার অধিকারী। শিক্ষিত মা-বাবার উৎসাহে শুধু পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে শিখে গেছে । কোনো হৈ-হুল্লা, আচার- অনুষ্ঠানাদিতে ছোট থেকে মা-বাবা উৎসাহিত করেননি। আত্মীয়-স্বজন, পাড়াপড়শি কারো সাথে বেশি মেলামেশাও করতে দেননি - পড়াশোনায় ক্ষতি হবে বলে।

      

      সেদিন ছিল ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখ।  নার্গিসের ছোট পিসির বিয়ে । সবাই কিছু না কিছু কাজে ব্যস্ত কিংবা আনন্দ ফুর্তিতে । কেউ এটা করছিল তো কেউ ওটা করছিল কিংবা কেউ কিছুই না করে শুধু উপভোগ করছিল।  নার্গিসের ক্লাস নাইনের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে মাত্র তবুও সে তার রুমের দরজা-জানালা বন্ধ করে বিদ্যা-চর্চা করছিল। ওর বয়সী মেয়েরা তখন ব্যস্ত   সাজপোশাক নিয়ে। কে কতো সুন্দর করে সাজবে? কে কোনটা পোশাক পরবে? কাকে কতো সুন্দর দেখাচ্ছেনানা ধরনের মেয়েলিপনা জল্পনা-কল্পনা করছিল তারা। এগুলো করা তো স্বাভাবিক । এগুলোই তো মেয়েদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য । কিন্তু নার্গিস এসবের মধ্যে নেই। এটা ভাবতে অবাক লাগে । নার্গিস কি সত্যিই আনন্দ ফুর্তি ভালোবাসে না, সাজতে ভালোবাসে না? নাকি ইচ্ছে করে সরিয়ে রাখত নিজেকে ? পড়াশোনার ক্ষতি হবে বলে কিংবা মা-বাবাকে খুশি করার জন্য ? আসলে নার্গিসকে বাইরে থেকে বুঝাটাই মুশকিল ! নার্গিস সবার সাথে তাড়াতাড়ি মিশতে পারে না । এমনকি মা-বাবার সাথে ও নিজের আবেগ-অনুভূতি গুলো ভাগ করে নিতে জানেনা যে সে ।

      

      গুয়াহাটিতে নিয়ে গিয়ে নার্গিসকে তার মা-বাবা  কলেজে পড়ার সাথে সাথে একটা কোচিং সেন্টারেও ভর্তি করে দেন। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছে মেয়ে। আনন্দে, গর্বে মা-বাবার বুক ভরে যাচ্ছে। একদিন মেয়ে এসে মা-কে আবদার করল,

- "মা চলো না শপিংমলে যাই।"

- "কেন মা? কিছু কিনবি?"

- "হ্যাঁ মা , আমি ড্রেস কিনব।"

- "ঐ সেদিন বাড়ী থেকে এসেই কয়েক জোড়া সালওয়ার-কামিজ কিনলি যে।"

- "এগুলো এখানে চলে নাকি? নিজেকে কীরকম আনস্মার্ট লাগে। আমি জিনস প্যান্ট-টপ কিনব।"

- "তুই তো আগে এগুলোই বেশি পছন্দ করতিস না। ছোটবেলা আমি জিনস কিনে দিয়েছিলাম, তখন তো পরলিই না।"

- "সে গাঁয়ের কথা ছিল। যেখানে যা পরে....।"

- "না না না, এগুলো পরলে গায়ের মানুষ কী বলবে? এখন বড় হয়েছো ।"

- "মা এখানে প্রায় সব মেয়েরাই পরে। "

- "কোনোদিন তো তোকে কোনো কিছুতেই না বলিনি। ছোট্টবেলা থেকেই তো তোর সব বায়না পূরণ করে আসছি। কিন্তু মা এগুলো পরলে লোকে কী বলবে।"

- "ঠিক আছে। লাগবে না।" বলে মুখ ভার করে মেয়ে চলে যায়।

 

     মা বাবাকে ফোন করে মেয়ের আবদারের কথা বললেন। বাবা বললেন, - "দিয়ে দাও না যা চায়। তাকে কোনো ধরনের কষ্ট দেবে না। তুমি না করতে গেলে কেন? আধুনিক যুগের মেয়ে সে, সবাই যে রকম চলছে ও তো সেভাবেই চলবে। আমার মেয়ে আজ পর্যন্ত কি কোনো ভুল করেছে। তুমি নিজেকে বদলাও। এখনও গায়ের স্বভাব ছাড়তে পারোনি।"

- "আমি তো তোমার বাড়িতে গিয়ে এরকম হয়েছি। আমি কত আধুনিক ছিলাম।"

- "ছাড় না এসব কথা। মেয়েটির কথা ভাবো। "

- "ও আচ্ছা! তো নার্গিস‌ এর ব্যাপারে কী করবো?"

- "কী আর করবে? নার্গিসকে তার নিজের ইচ্ছেমত চলতে দেবেনাইলে তার মন খারাপ হয়ে যাবে যার প্রভাব পড়াশোনার উপর পড়বে। আমার মেয়ের উপর আমার পুরোপুরি বিশ্বাস আছে। সে আমাদের অমর্যাদা কখনোই করবে না। শুধু ঠিক মতো পড়াশোনা করছে কিনা লক্ষ্য রাখো।"

- "হ্যাঁ! হ্যাঁ! ঠিক বলেছ।ওকে বাই। টেক কেয়ার।"

- "বাই। টেক কেয়ার।"

 

      পরদিন নাজিয়া মেয়ে নার্গিসকে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছে মতো শপিং করলেন। বিউটি পার্লারে নিয়ে গেলেন। মেয়ে চুল স্টেপ কাট করালো, চুল স্ট্রেট করালো । তারপর পেডিকিউর,মেনিকিউর, ট্রেডিং, ফ্যাশিয়াল ইত্যাদি ও করালো। সঙ্গে মাও নিজের চুলে কালারভ্রু থ্রেডিং ও ফেশিয়াল ইত্যাদি করালেন। 

 

       পরদিন নার্গিস কোচিং এ যখন গেল হা করে তাকিয়ে আছে সবাই ''এ কি ক্যাটরিনা কেইফ নাকি?" বরাবরের সুন্দরী নার্গিসকে আজ "কী হট লাগছে!" আজ সেই টান টান করে চুল বাঁধা, ঢিলা-ঢালা সালোয়ার-কামিজ পরা, মেকআপ-হীন লাজুক লাজুক চেহারার নার্গিস আর নেই। এ এক নতুন নার্গিস, পরিবর্তিত নার্গিস।  

     

      বিশেষ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করলো কোচিং সেন্টারের প্রধান পরিচালক মিঃ জনের। মিঃ জন গুয়াহাটিতে একটি নামকরা কলেজের প্রফেসর।  সাথে এই কোচিং সেন্টারটাও চালান। নাম করা অভিজ্ঞ প্রফেসর।

   - "হাই নার্গিস। হোয়াট এ হট লুক! আই উইল কল ইউ ক্যাটরিনা। ইউ লুকস লাইক ক্যাটরিনা কেইফ।"

  - "ওহ! নো। থ্যাঙ্ক ইউ স্যার।"

   

    মিঃ জন দক্ষিণ ভারতের মানুষ। বয়স প্রায় পঁয়তাল্লিশ হবে । তাঁর মা, স্ত্রী ও এক পুত্র আছে। তারা কেরালায় থাকে। অনেক সম্পত্তি সেখানে। স্ত্রী সেখানে নিজের প্রাইভেট স্কুলের কর্ণধার। তিনি গুয়াহাটিতে একা থাকেন। নার্গিসের পড়াশোনার গাইড হিসেবে তিনি যথেষ্ট। নার্গিসের পরিবারের সঙ্গে ও ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। আসা-যাওয়া চলতে থাকে অবাধে। নার্গিস যেকোনো সময়ে তাঁর কাছে সহায়তা চাইতে পারত। তাঁর ঘরের দরজা নার্গিসের জন্য খোলা সর্বদা। মেয়েকে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেতেই হবে। অজান্তে বাড়তে থাকে নার্গিস ও মিঃ জনের ঘনিষ্ঠতা। যথাসময়ে এইস এস সি পরীক্ষায়ও নজরকাড়া ফলাফল করে, মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নার্গিস গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমবিবিএস করার জন্য ভর্তি হয়ে যায়। খুশীর জোয়ারে ভেসে গেল সবাই। 

 

      সেদিন শনিবার । মেয়ে কলেজ হোস্টেল থেকে ঘরে আসবে। মা বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। হঠাৎ দেখলেন একটা কার থেকে মেয়ে নামছে, ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলেন - এতো মিঃ জন। মায়ের বুকটা ছলাৎ করে উঠলো। মেয়ে ঘরে ঢুকলো । মা আদর করলেন কিন্তু আর কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস হলো না। মেয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলে খেতে দিলেন। লক্ষ্য করলেন বেশি কিছু খাচ্ছে না। নিজে তাগাদা দিলে বলল,

- "ইচ্ছে করছে না। বন্ধুদের সাথে ক্যান্টিনে খেয়েছি তাই খিদে নেই।"

 

       সারা রাত ঘুম হয়নি নাজিয়ার ! কী সব আজেবাজে চিন্তা আসছে মনে ! শনিবার বিকেলে বাবাও ঘরে আসেন। কিন্তু সেদিন কলেজের কাজে দেরী হয়ে গেল। তাই রবিবার সকালে বাবা আসলেন। সোমবার মেয়ে, বাবা চলে গেল নিজ নিজ জায়গায়। কাউকে আর কিছু বলতে পারলেন না তিনি। তারপর লক্ষ্য করলেন মেয়ে কীরকম বদলে গেছে ! মা-মেয়ের মধ্যে কী এক দূরত্ব অনুভব করলেন ! বাবাকে একদিন নিজ সন্দেহের কথা বলতে গিয়ে বকা খেলেন।

 

       মিঃ জন ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে আসলেন নার্গিসের ঘরে। মোঃ আসিফ  এক বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গেছেন। নাজিয়া তাকে বসিয়ে খাবার-দাবার দিয়ে অন্দর মহলে চলে যান। ফিরে এসে নার্গিসকে আর মিঃ জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে হুঁশ উড়ে যায়, হাত থেকে পান-সুপারির থালাটা ও পড়ে যায় । তড়িঘড়ি মিঃ জন বিদায় নিয়ে চলে যান। মা গিয়ে সামনাসামনি হন মেয়ের। রাগে-দুঃখে মেয়েকে ধমক দিয়ে বললেন,

- "নার্গিস ! এসব কী হচ্ছে ? তোমার কী এতো ঘনিষ্ঠতা তার সাথে।"

- "আই লাভ হিম।" মেয়ে বলল।

ঠাস করে মেয়ের গালে জীবনে প্রথম বার এক চড় বসিয়ে দিয়ে চেঁচিয়ে উঠেন,

- "সে একজনের স্বামী, একজনের বাবা, তোমার শিক্ষক, ভিন-ধর্মী, বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ।"

 

    মেয়ে আর কিছু না বলে চুপচাপ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ফোন করে মিঃ জনকে । মিঃ জন বললেন, ''তুমি এতো তাড়াতাড়ি সব কিছু বলতে যেওনা। কন্ট্রোল ইয়োরসেলফ। তোমার এম বি বিএস টা শেষ করে নাও। আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। ভুল হয়ে গেছে বলে ক্ষমা চেয়ে নেবে। টেক কেয়ার।'' 

 

      বাবা ঘরে আসার পর সবকিছু শুনে মেয়ে কে ডেকে জিজ্ঞেস করলে, সে বলল,‌‌‌‌ - "সরি বাবা, সরি মা । আমি বুঝতে পারিনি, ভুল হয়ে গেছে। আমি নিজেকে এ সম্পর্ক থেকে সরিয়ে নিচ্ছি। একটু সময় দাও। প্লিজ।"

 

     মা-বাবা মেয়ের উপর ভরসা করে বিষয়টা ছেড়ে দিলেন। কিন্তু এম বি বি এস শেষ করার পর মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য মা যখন তার সাথে আলাপ করতে গেলেন, সে মাকে পাত্তা দিলোনা। গলার চেইন এর লকেটে রয়েছে ক্রুসের চিহ্ন। মা জিজ্ঞেস করলে বলল - "ভালো লেগেছে তাই লাগিয়েছি।"

- "মা রে নিয়মিত নামাজ পড়, তেলাওয়াত কর । তোর বাবাও গেল বছর হজ্জ করে এসেছেন, খেয়াল রেখো.......।"

- "মা তুমি আমাকে এতো ডিস্টার্ব কর কেন? আমার এতো সময় নেই এসব করার। ডোন'ট ডিস্টার্ব মি, প্লিজ।"

  

      বাবা সব শুনে নিজে কথা বলতে গেলেন। বিয়ের জন্য জোর করলে বলে উঠল,

- "আমি একজনকে ভালবাসি। তাকেই বিয়ে করব।"

- "ঠিক আছে হবে। কে সে ? আমি কথা বলবো তার সাথে।"

- "জানলে তোমরা মেনে নেবে না।"

- "তবুও আমাকে জানতে হবে। আমরা তোমার বাবা-মা ।"

- "মিঃ জন।"

 

       বাবা আজ প্রথম বার মেয়ের উপর হাত উঠালেন। রাগে- দুঃখে-অপমানে নিজের হাতের কাছে যা পেলেন ভাঙ্গতে লাগলেন। কিন্তু মেয়ে অনড়। অনেক দেখে শুনে রাখতে লাগলেন মেয়েকে। তারপরও একদিন সুযোগ বুঝে মেয়ে উধাও। 

    

    মিঃ জন নার্গিসকে নিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে উঠলে তার মা তাদের তাড়িয়ে দিলেন। তার স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে বের হতে গেল আলাদা থাকবে বলে। শাশুড়িমা হাত ধরে বললেন - "এই বুড়িটাকে এতো দিন যত্ন করে রেখেছিস মা। এখন মরার সময় একা ফেলে চলে যাবি !"

    

    হাতের ব্যাগটা ফেলে দিয়ে বউমা শাশুড়িকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদলে। আর সে তাঁকে ছেড়ে যেতে পারলো না। কয়েক দিন পর মিঃ জনের মা তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বউমা আর নাতিটার নামে উইল করে দিলেন। বউমার যত্ন মাকে ছেলের কথা ভুলিয়ে রাখল।

 

    এদিকে নার্গিসের মা-বাবা মরার মতো বেঁচে আছেন ! দুঃখে যেন বুক ফেটে যাচ্ছে তাদের। কী ফাঁক ফোকর রয়ে গেল নার্গিসকে বড় করে তুলতে ! বোধহয় মেয়েকে পড়াশোনার পাশাপাশি আরো একটু সময় দেওয়া দরকার ছিল ! কতো কী ভাবতে থাকেন তাঁরা !আর নার্গিস প্রতারক মিঃ জনের ফাঁদে পা দিয়ে ভেসে যায় কোন এক অজানা স্রোতে । 

       

                              বিষয় - ছোটগল্প

 

                            ।। মাসকুরা বেগম।।

                             গুয়াহাটি। আসাম।

 

 

1 টি মন্তব্য:

A F Ekbal. বলেছেন...

উন্মত্ত আধুনিকতার বাস্তব চিত্রনাট্য ! ধন্যবাদ মাসকুরা ।