“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৮ মে, ২০২০

মোমবাতির সলতে


      ।। মিঠুন ভট্টাচার্য ।।         


(C) Image--ছবি







শুকনো থালায়
খাদে উপচানো সাদা ভাত,
মিছিমিছি কালো চামড়ায়
পোড়া বার্নিশ।
ফিরতি ভাটায়-
ঘাম শুষে
পিচমোড়া রাস্তা,
পোড়া-কালো রক্ত চুষে
রেললাইনের পাথর।
তবু তারা এগিয়ে যায়
কাতারে কাতারে।
কিছুমুহুর্ত আগে ওরা এগিয়েছিলো
আবাসনের সিড়ি ভেঙে
অসীমের খোঁজে
তাদের গুটিকয়েক স্বজন
গুপ্তধনের সন্ধানে
এগিয়েছিলো মেনহোলে।
তাদের অন্বেষণ
অবিরাম, অবিরত।
অতীতে সামান্য পিছিয়েছিল
যেদিন
বৃষ্টিভেজা ধান
মাটির গন্ধ শুকেছিলো,
টমেটো সস্
হাটের নর্দমার গলিতে ভেসেছিল।
তারপর আবার,
ওদের না যাওয়া স্কুলে
ভূগোল ইতিহাসের পাতায় কান পেতে জেনেছিল মৌসুমি বৃষ্টি সংবাদ।
সেই থেকেই মেঘবিহীন দিনে
সূর্যঘড়ির ছায়ায়
পা ফেলা শুরুর রচনা   ।
যেতে যেতে শেষে হয়তো
স্বর্গের বন্ধ দুয়ারে
আলো জ্বেলে ঠায় বসে
প্রভুদের অপেক্ষায়।

৮ মে,২০২০








কোন মন্তব্য নেই: