“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯

আমার শহর

                 রফিক উদ্দিন লস্কর
মাঝে মাঝে অঝোর বৃষ্টি নামে আমার শহরে
বিড়ি সিগারেটের ধোঁয়ায় এখানে মেঘ হয়।
এখানেও অভাব নেই ফোপর-দালালের
বিড়বিড় করে ওরা আস্ত শহর পরিক্রমা করে।
গাড়ির আওয়াজটা যেনো মৃত্যুর পাশাপাশি
উন-পাঁজুরে চালকের প্রতিবাদ কে আর শুনে!
যানজট তো আছেই হামেশা অন্তঃপুরের পুকুরে।
এই শহরে বছর বছর পাগলিরাও পোয়াতি হয়,
জন্ম হয় এখানে হুবহু মানুষের বাচ্ছার মতো।
সাক্ষী!  ব্রীজের নীচ, বাজারের পেছন দিকটা
কখনো ফুটপাত বা বন্ধ দোকানের বারান্দা ।
এই শহরের বস্তির মাঝখানে কোনো শান্ত গলিতে
প্রেমিক প্রেমিকা ঢুকে পড়ে চোরাগোপ্তা দুপুরে।
পাতিকাক ঘাড় বেঁকিয়ে চায়, মাঝেমধ্যে হল্লা করে।
মাঝে মাঝে গলির ফটকে পাহারা দেয় পান্থ কুকুর,
এই শহরে তো নেশাখোর বনেদি ঘরের ছেলেমেয়ে।
সন্ধে হলে শুনা যায় আজান আর শঙ্খধ্বনি
তারপরও এখানে চলে কতরকম রংবাজি।
সুযোগ পেলে খুলে ফেলে ছোট্ট মেয়েটির জামা
এমনকি জামা তলায় থাকা ছোটো জামাটিও।
কানের ময়লা ঝাড়তে খুঁচিয়ে কি আনন্দ!
আমার শহর বদলেনি, বদলেছে মানুষ ও স্বভাব।

কোন মন্তব্য নেই: