“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯

কবি অপাংশু দেবনাথ শুনুন

।। অভীককুমার দে।।

আপনার লাগানো গাছগুলোর দিকে দেখুন,
দেখুন, করাতের ধারালো জিহ্বায় প্রতিনিয়তই কেমন কাঁপছে,
চোখের উপর চোখের পোড়া দৃষ্টি এসময়,
তাই প্রায়ান্ধকার স্বপ্নগুলো মুছে ফেলতে পারেন বরং;
কত আর খোলা রাখবেন চোখ !

আপনার লালিত গাছের মতই প্রতিটি নতুন চারা
একেকটি শিশু
মানুষের জন্য
নারী হতে চায় অথবা পুরুষ,
অথচ দেখুন, মানুষগুলোই নির্বাক গাছ হয়ে উঠছে !
এমন মানুষগাছে কেবল স্বার্থই ফলে।
কাণ্ডজ্ঞানহীন কাণ্ডের ভেতর চোর থেকে ধর্ষকের আঠালো কষ
মাটি শরীরের ছেঁড়া অন্তর্বাসের অভ্যন্তর দেখছে, অথচ
এই ভাঙা বুকে কেঁদে ওঠা ভায়োলিনের সুর কেউ শোনে না !

সব গাছ কাটা হয়ে গেলে
উপড়ে ফেলার মত জীবনই তো থাকবে শুধু,
শিকড়ের সাথে ভাষণের দড়ি বেঁধে নিতে দিন, ফাঁস হবে।
কত আর খোলা রাখবেন চোখ ?
মরুযন্ত্রণা নিয়েই প্রায়শ্চিত্ত হোক পৃথিবীর
মানুষ নামক অমানুষ গড়েছে বলে।

কোন মন্তব্য নেই: