।। অভীককুমার দে।।
এই মাটি শরীর ছুঁয়ে বর্ণেরা আকাশ সাজায় বলেই
ডুবন্ত সূর্যের রঙিন ডানায় তুলো মেঘের মত ভেসে বেড়াই,
তুমি দূর থেকে চেয়ে থাকো নির্মাণ।
ডুবে যাওয়া রশ্মির পিছুপিছু যেতে দেখি সন্ধ্যাকে,
বড়ো অবেলার মেয়ে সে,
বৃদ্ধ দিনের সব আপদ এসে জড়িয়ে ধরে যুবতী শরীর,
মনে হয়, একলা শূন্য ঘর, আলো নেই,
মুখোমুখি একা বসে আমি
ছায়াপথের তারার মতই ধোঁয়াশায় আছি ঝুলে;
তবে কি তোমারই অনুপস্থিতি অনুভব করি ?
বুঝতে পারি, নিঃশব্দ আমি শব্দের ভিখারি।
অনুভবের দরজা খুলে গেলেই বুকের কোথাও জ্বলে আগুন,
শব্দ সব ছোটাছুটি করে,
চিৎকার করে,
পুড়ে পুড়ে গলতে থাকে ভাবনার মেঘ।
আমার চারপাশে এক অজানা নিরবতা !
আমিও নীরব, বুকের ভেতর ডুবে যাই শান্ত শিশুর মত,
সন্ধ্যা তখন রাতের বিছানায়, নির্বাক...
রাতের শেষে ওকে ঝরে পড়তে দেখি পরাজিত শিউলির মত;
তবুও আমি আছি, একা
হেরে গিয়ে বেঁচে আছি কবিতার কাছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন