“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯

প্রতিটি রাতের পর

।। অভীককুমার দে।।

প্রতিটি রাতের পর ভোরের শরীর।
শরীরে ভোর।
সামনে গত রাতের মত আরেকটি রাত, পেরিয়ে তো যেতেই হয়,
পাখিটি নরম বাতাসে ডানা ভাসালো বলে
লাল হয়ে ওঠে পূবের আকাশ।

ঠিক এখান থেকে আলো ফেলে দেখছি--
রক্তনালির গরম প্রবাহে বিবর্তন এসেছে,
উচ্চচাপ আর নিম্নচাপের গলি পেরিয়ে জ্বলন্ত হৃৎপিন্ড,
রোগাক্রান্ত শরীর,
গত দিনের শিশুটি আর শিশু নেই;
জন্মের পর থেকেই খুঁজে চলেছে মৃত্যু !

ভদ্রাসন থেকে পদ্মাসনে
বন্ধ চোখ,
দীর্ঘ শ্বাস...

পেটের ভেতর চিনচিন ব্যথা,
খালি পেটের আসনগুলো শাসন করছে;
পূবের আলো পশ্চিমে হারালেই পাখিটি উড়ে যায় দক্ষিণে।

কোন মন্তব্য নেই: