“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০১৫

মাঠ

॥  নীলদীপ চক্রবর্তী ॥













ই মাঠ পেরিয়ে সোজা চলে যাই
স্বপ্নের মোড়কে ঢাকা পথে
এই মাঠের মাঝখানে নেড়া হয়ে যাওয়া
ঘাসবন ঝলসানো ঠাই টুকুতে দাঁড়াই

এই মাঠ পেরিয়ে মিশে যেতে ছুটি ধুসর দিগন্তে
ঘাসবন ঝলসানো ঠাই পর্যন্ত ছুটে যাই
আমার পড়ে আর আশেপাশে থাকা রাখলেরা
হা মুখে আমায় দেখে স্বপ্নমুগ্ধের মতো –

এই মাঠের মাঝখানে বৃষ্টি ঝরে, সিক্ত করে পুরোনো মৃত্তিকা
এই মাঠের খা খা রোদে পোড়ে সাওতালির তামাটে শরীর
এই মাঠ পেরিয়ে ছুটে ছুটে থমকে দাঁড়াতে হয় –
ফিরতে হয়ে পিছুটানে, সন্ধের কিছুটা আগে

বুকের ক্ষয়রোগ আর বার্ধক্যের গ্লানি নিয়ে
মাঠের সীমানার পর্ণ কুঠিরে
স্বপ্নহীন দুঃসহ চোখে অপেক্ষায় থাকে

বৃদ্ধ জনক আর তার একমাঠ ভরা – প্রতীক্ষা ।।   

কোন মন্তব্য নেই: