“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫

প্রতি,হেমাঙ্গ বিশ্বাস



।। দেবলীনা সেনগুপ্ত।।










তোমার হেম- অঙ্গে
কখনও বা মেখে যায়
হেমন্তের গোধূলি রঙ বিষাদ
ফসলগন্ধী আলপথ ধরে যেতে যেতে
তুমি ক্রমশঃ মিলিয়ে যাও
দূর থেকে দূরে-
আর আমরা, আজকের রঙ্গনটেরা
হারিয়ে ফেলি তোমাকে।
ভুলে যাই,
প্রকৃত সত্যের কোনও
ডান-বাম হয় না ,
একাগ্র সরল রৈখিক পথেই
তার নিঃশঙ্ক গতায়াত
তীক্ষ্ণ আলোকফলার মত।
তোমার মাটি-দাগ গানের সুরে
সে অবিরাম সত্য
তার নির্ভেজাল সাদা রঙে ফুটে ওঠে
কুলখুড়ার উঠানে
মঘাই ওঝাআর
রত্ন-রাভা ব্যাখ্যানে।
অযথার লাল-সবুজ-কমলার কারিকুরিতে
বারবার ভেঙ্গেচুরে যায়
তোমার প্রতিকৃতি
অস্পষ্ট হয় অবয়ব ,
তারপর একদিন
সব রঙ  শোষিত হয়
নেমে আসে নিকষ কালো
ডুবে যাই বিপন্ন আঁধারে...

সূর্যোদয়ের আলোয় তাই
কাঁপা হাতে আঁকি তোমার মুখ
নিজেকে খুঁজে পেতে
নিজেদের ফিরে পেতে...

কোন মন্তব্য নেই: