“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৫

পঞ্চ-সাপের গণ-হিষ্টিরিয়া

।।  সুদীপ নাথ।।


বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় এই সভ্য মানুষের মধ্যে কিন্তু ব্যক্তিগত হিষ্টিরিয়ার প্রকোপ অনেকটাই কম দেখা যায়। তবে গণ-হিষ্টিরিয়া কিন্তু একটুকুও কমেনি। তবে মনে রাখতে হবে, তা কিন্তু ঘটে বিশেষ বিশেষ সামাজিক পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে। সত্তর আশি বছর আগেও মালয়ে গণ-হিষ্টিরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দলে দলে মহিলারা, কয়েক রাত বনে কাটিয়ে আসত গান করতে করতে। প্রথমে এই রোগে একজনই আক্রান্ত হত। তারপরে একের পর এক মহিলা আক্রান্ত হতে থাকত। বেশি দিনের কথা নয়, আজ থেকে আনুমানিক পঁচিশ বছর আগে খোদ কোলকাতা শহরেই ঝিনিঝিনিয়া নামক এক গণ-হিষ্টিরিয়ার প্রাদুর্ভাব হয়েছিল, যা অনেকেরই এখনো মনে থাকার কথা।

           
দয়পুরের গোকুল নগরে কদিন আগে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল নামে। চারদিকে রটে গিয়েছিল পঞ্চ সাপ বলে কি একটা নাকি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। শুরু হয় পুজো-আর্চা। কাপড় বিছানো হয় প্রণামী রক্ষা করতে। অনেকে চান করে নুতন জামা-কাপড় পড়ে, বড় সিঁদুরে কপাল রাঙিয়ে ভাবে গদগদ হয়ে লুটিয়ে পরেন সেই তথাকথিত পঞ্চ সাপের সামনে। বিজ্ঞান কর্মিরাও ছুটে আসে।

             আসলে তা ছিল এক রকমের উদ্ভিদ। এইগুলোকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে মৃতজীবী উদ্ভিদ। এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করার আগে উদ্ভিদের খাদ্য সংগ্রহের দিকটি একটু দেখে নিতেই হয়।

             এক ধরণের পদ্ধতিতে সবুজ উদ্ভিদ ক্লোরোফিলের সহায়তায় সূর্যালোকের উপস্থিতিতে মূলরোম দ্বারা শোষিত জল ও পত্ররন্ধ্র দ্বারা গৃহিত কার্বন ডাই অক্সাইডের রাসায়নিক সমন্বয় সাধন করে, গ্লুকোজ সংশ্লেষ করে। পরে তা শ্বেতসার বা প্রোটিন বা ফ্যাট খাদ্যে পরিণত হয়ে উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড, পাতা, ফল ও বীজের মধ্যে সঞ্চিত থাকে। এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদ না না অজৈব উপাদান থেকে নিজ দেহে উপযোগী জৈব যৌগের সৃষ্টি করে। এই পদ্ধতিকে বলে স্বভোজী পুষ্টি পদ্ধতি।

              এছাড়া রয়েছে পরভোজী পুষ্টি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদ নিজেদের দেহে খাদ্য সংশ্লেষ না করে অপর কোনো আশ্রয়দাতার দেহ থেকে অথবা মৃত জৈব পদার্থ থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে, পুষ্টি সম্পন্ন করে তাকে পরভোজী পুষ্টি বলে। উদাহরন- বিভিন্ন রকম ছত্রাক স্বর্ণলতা, র‍্যাফ্লেসিয়া, বেনে-বৌ এবং পতঙ্গভুক ইত্যাদি । এই পরভোজী উদ্ভিদ চার ধরণের দেখতে পাওয়া যায়। (১) মৃতজীবী  (২) পরজীবী  (৩) মিথোজীবী বা অন্যান্যজীবী এবং (৪) পতঙ্গভুক।

    ১৷ মৃতজীবী – যে সব উদ্ভিদ গলিত ও পচা উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ অথবা অন্যান্য জৈব পদার্থ, যেমন- গোবর, ভিজে কাঠ, ভিজে চামড়া, জ্যাম, জেলি ইত্যাদি পচনশীল জৈব পদার্থ থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে, তাদের মৃতজীবী বা স্যাপ্রোফাইট বলে। উদাহরণ – ডেড ম্যানস ফিঙ্গার,  ব্যাঙের ছাতা বা অ্যাগারিকাস, ঈস্ট, পেনিসিলিয়াম, মিউকর ইত্যাদি ছত্রাক এবং মনোট্রোপা নামের সপুষ্পক পূর্ণ মৃতজীবী উদ্ভিদ। পাইন গাছ সবুজ তাই এদের স্বভোজী পুষ্টি দেখা যায়। কিন্তু এদের মূলে বসবাসকারী একরকম ছত্রাকের (মাইকো্রাইজা) সাহায্যে এরা পরোক্ষ ভাবে গলিত পদার্থ শোষণ করে, তাই পাইন গাছ আংশিক মৃতজীবী।

    ২৷ পরজীবী – যে সব উদ্ভিদ অপর কোনো সজীব আশ্রয়দাতা উদ্ভিদ দেহ থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে পুষ্টি সাধন করে তাদের পরজীবী বা প্যারাসাইট বলে। যে সব উদ্ভিদের দেহ থেকে পরজীবী উদ্ভিদ পুষ্টিরস শোষণ করে তাদের পোষক বা আশ্রয়দাতা বলে। পরজীবী উদ্ভিদ দুই রকমের হয়-(ক) পূর্ণ পরজীবী , (খ) আংশিক পরজীবী।

    ৩৷ মিথোজীবী বা অন্যান্যজীবী – যে উদ্ভিদ পুষ্টির জন্য অন্য কোনো জীবের সাহচর্যে জীবন ধারণ করে পরস্পর উপকৃত হয়, তাকে মিথোজীবী বা অন্যান্যজীবী বা সিমবায়োটিক বলে।

    ৪৷ পতঙ্গভুক – যে সব উদ্ভিদ নাইট্রোজেন ঘটিত প্রোটিন খাদ্যের জন্য পতঙ্গ ধরে পতঙ্গের দেহ থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে পুষ্টি সম্পন্ন করে, তাদের পতঙ্গভুক উদ্ভিদ বলে। যেমন – কলসপত্রী, সূর্যশিশির, পাতাঝাঁঝি ইত্যাদি। এরা পতঙ্গ খেয়েই বেঁচে থাকে।

               আর উদয়পুরে যা দেখে পঞ্চ সাপ ভাবা হচ্ছিল, তা ছিল আসলে এক ধরণের মৃতজীবী উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম জাইলারিয়া পলিমরফা ( Xylaria polymorpha,) এবং সবাই একে Dead Man's Fingers বলেই চেনে। বাংলায় বলা যেতে পারে মৃত মানুষের আঙ্গুল। আঙ্গুল সদৃশ ডগাগুলো ৩ থেকে ৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। আর ডায়ামিটার হয় ১ থেকে ৩ সেন্টিমিটার। পলিমরফা বলা হয় এই জন্যে যে, জাইলারিয়া-র আকৃতি অগণিত ধরণের হয়। রঙ সাধারণত কালচে খয়েরি। তাছাড়া পরিবেশ ভেদে গাঢ় সবুজ, বেগুনী বা ছাই রঙেরও হয়। এরা জন্মায় বর্ষা থেকে নভেম্বর মাস অব্দি। এরা ব্যাঙ্গের ছাতার সমগোত্রীয় এবং তাই সেই পরিবেশেই জন্মাবে, ঠিক যে পরিবেশে ব্যাঙ্গের ছাতা জন্মায়। পুরানো পচা কাঠ স্যাঁতসেঁতে যায়গায় খড় চাপা দিয়ে রাখলে সেটাই এদের জন্মানোর সবচেয়ে অনুকূল পরিবেশ।
   
                     উদয়পুরেও একটা পরিত্যক্ত স্থানে ৭/৮ বছর আগে একটা বিশাল বহেরা গাছ কাটা হয়েছিল। এই বহেরা গাছটির গোড়াটা মৃত লতাপাতায় ঢাকা পড়ে যাওয়াতে, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছিল এই ডেড ম্যানস ফিঙ্গার জন্মানোর। আর আঙ্গুল সদৃশ ডগাগুলোকে ভেবে ছিল সাপের মাথা। পাঁচটি ডগা থাকায় নাম পড়ে গেছে “পঞ্চ-সাপ”।

এবার দেখে নেয়া যাক, এই উদ্ভিদ দেখে কেন এত মানুষ পুজো দিতে শুরু করেছে। মানুষের ঢল নামার পেছনে যে কারণ রয়েছে, তা সাইকো-সোসিও-বায়োলজিক্যাল ফ্যাক্টর দিয়েই বিশ্লেষণ করা যায়। এর পিছনে যে সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্টর আছে তা গণ-হিষ্টিরিয়া বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। মহাভারতের মৌষল পর্বে এই গণ সম্মোহনের সুন্দর উদাহরণ রয়েছে। ওখানে কৃষ্ণকে দেখা যায় অর্জুন সহ সবাইকে সম্মোহিত করে গণ-হিষ্টিরিয়ায় ঠেলে দিয়েছে। হিটলার এই ব্যাপারে ছিল সিদ্ধহস্থ। আজকাল নির্বাচনের কাজে কোন দল কতটা শক্তিশালী গণ-সম্মোহন সৃষ্টি করতে পারে, তার প্রতিযোগিতা চলে । গণ-সম্মোহন সৃষ্টি করে নিতে পারলেই গণ-হিষ্টিরিয়া শুরু হয়ে যায়। আসলে আমরা যাকে বলি গণ-উন্মাদনা। ব্যাক্তিগত উন্মাদনা হচ্ছে ব্যক্তি বিশেষের হিষ্টিরিয়া। আর সম্মিলিত উন্মাদনা হচ্ছে গণ-হিষ্টিরিয়া।

             গণ-হিষ্টিরিয়ার জন্যে সমাজে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতি আগে থেকেই তৈরি হয়ে থাকতেই হবে। মানুষের মনে দীর্ঘ দিনের লালিত পালিত ধ্যান ধারণায়, ভয় ভীতি কুসংস্কার ইত্যাদির কোন কিছু, সামাজিক ভাবে দৃঢ় প্রতিষ্টিত হয়ে থাকতে হবে। ব্যক্তিগত হিষ্টিরিয়ার আধিক্য দেখা যায় সাধারণত অশিক্ষিত ও আদিম সভ্যতার আওতায় বেড়ে উঠা মানুষের মধ্যেই বেশি। তার কারণ কিন্তু এই নয় যে, পরিস্থিতি ও পরিবেশের সঙ্গে তাদের বিরোধ, শিক্ষিত তথা তথাকথিত সভ্য মানুষের থেকে বেশি। আসলে তাদের মস্তিষ্কের কোষের স্থিতিস্থপকতা ( ELASTICITY ) খুব কম। তাদের আবেগ প্রবণতা খুবই বেশি। যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে তারা কোন বিষয়কে তলিয়ে দেখে না। তারা শুধুমাত্র তাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়েই সব কিছুকে গ্রহন করে।

             বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় এই সভ্য মানুষের মধ্যে কিন্তু ব্যক্তিগত হিষ্টিরিয়ার প্রকোপ অনেকটাই কম দেখা যায়। তবে গণ-হিষ্টিরিয়া কিন্তু একটুকুও কমেনি। তবে মনে রাখতে হবে, তা কিন্তু ঘটে বিশেষ বিশেষ সামাজিক পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে। সত্তর আশি বছর আগেও মালয়ে গণ-হিষ্টিরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দলে দলে মহিলারা, কয়েক রাত বনে কাটিয়ে আসত গান করতে করতে। প্রথমে এই রোগে একজনই আক্রান্ত হত। তারপরে একের পর এক মহিলা আক্রান্ত হতে থাকত। বেশি দিনের কথা নয়, আজ থেকে আনুমানিক পঁচিশ বছর আগে খোদ কোলকাতা শহরেই ঝিনিঝিনিয়া নামক এক গণ-হিষ্টিরিয়ার প্রাদুর্ভাব হয়েছিল, যা অনেকেরই এখনো মনে থাকার কথা। এই গণ-হিষ্টিরিয়ার লক্ষণ ছিল শরিরে কাঁপুনির অনুভুতি। কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসকদের খুব দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। সরকার সংবাদ পত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়েছিল, এই কাঁপুনিতে চিকিৎসকের কাছে আসার দরকার নেই। এক মাসের মধ্যেই এই গণ-হিষ্টিরিয়া চলে যায়।

             সামাজিক নিষ্পেষণ থেকে বাঁচার তাগিদে যখন বৃহত্তর বাংলায় শ্রীচৈতন্যের প্রেমধর্মের প্রবর্তন ঘটে, তখন নিম্ন শ্রেনীর মানুষের মনে এক বিশেষ উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছিল। নাম সংকীর্তন করতে করতে অশ্রু বিগলিত হওয়া আর কোন কোন ক্ষেত্রে চেতনা হারানো হিষ্টিরিয়ারই অভিব্যক্তি। এতে, এক জনকে দেখে অন্যকেও সংক্রমিত হতে দেখা যেত। কারণ সেই গণ-হিষ্টিরিয়া । এইসব বিস্তারিত জানতে হলে গণ-মনস্তত্ব অর্থাৎ CROWD PSYCHOLOGY জানতে হবে এবং  GROUP ও  CROWD-এর পার্থক্য বুঝতে হবে, যা এই ক্ষুদ্র পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব নয়। তাছাড়াও মস্তিষ্কের টাইপ (TYPE) সম্পর্কেও অবহিত হতে হয়, যার দুটো ধরণ আছে, একটা হচ্ছে ARTISTIC টাইপ আরেকটা PHYLOSOPHER টাইপ।

           আগের দিনে, গণ উন্মাদনা সৃষ্টি করার পেছনে প্রধান ভুমিকা ছিল ধর্মের। এই ধর্ম নিয়ে বিজ্ঞান কর্মীরা কোন কিছু বলেতে গেলেই, কিছু লোক এগিয়ে আসে এই শব্দের নানা রকম অর্থ নিয়ে কুতর্ক করতে। আমি এখানে স্পষ্ট করেই তাদের উদ্দশ্যে বলছি যে, বিজ্ঞান কর্মীরা ধর্ম বলতে সব সময় রিলিজিয়নকেই বোঝায়। ইংরাজিতে যার ডিকশনারি মিনিং হচ্ছে belief in a higher unseen controlling power (সূত্রঃ সংসদ ইং-বংলা)। আর বর্তমানে ধর্মের এই স্থান দখল করে নিচ্ছে রাষ্ট্র আর রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে টিভি খুলেই দেখা যায়, মানুষকে সম্মোহিত করে, নানা রকম বস্তুর বিক্রি বাড়াতে, ধর্মিয় আবেগকে সুড়সুড়ি দেয়া হয় অনবরত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। আর চ্যানেলগুলো যে কোন ধর্মীয় পূজা-পার্বনের দিনগুলোতে আগে থেকেই ভাবাবেগ কাজে লাগিয়ে অনুষ্ঠান দেখাতে থাকে। এইভাবে আমাদের সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মিয় আচার অনুষ্ঠানের মাত্রা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আর জনসাধারণের এক ব্যাপক অংশ মানসিক দিক দিয়ে লাগাতার আবেশগ্রস্থ হয়ে থাকছে।

এই দিক দিয়ে বিচার করলে, এটাই বলতে হয় যে, মিডিয়ার এবং বিজ্ঞাপনের এই ধরণের লাগাতার প্রচারের কারণে, উদয়পুরের মত স্থানে আগে থেকেই গণ-হিষ্টিরিয়ার উর্বর জমি তৈরি হয়ে রয়েছে। তাই একজন এই অচেনা অজানা মৃতজীবী উদ্ভিদকে পঞ্চ সাপের মত ভেবে  হিষ্টিরিয়াতে আক্রান্ত হতেই পারে। আর তার দেখাদেখি অগণিত দুর্বল মনের মানুষ যে গণ-হিষ্টিরিয়াতে আক্রান্ত হবে, তাতে আশ্চর্য হবার মত কিছু দেখি না।

          উদয়পুরের বিশিষ্ট বিজ্ঞান কর্মী শ্রীযুক্ত সত্যেন্দ্র পাল মহাশয় এই এলাকাতেই বাস করেন। তাই তিনি এই গণ-হিষ্টিরিয়া নিয়ে মানুষকে বোঝনোর জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই। এভাবে সমাজের অগ্রণী অংশ যদি ব্যপক হারে প্রচারে এগিয়ে আসেন, তবে ত্রিপুরাকে এই ধরণের ভ্রান্তি আর গণ-হিষ্টিরিয়া থেকে অবশ্যই দূর করা যাবে। কারণ ত্রিপুরার স্থানীয় মিডিয়া এখন কুসংস্কার দূর করার জন্যে বলিষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে, যা পত্র পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে আর টিভির চ্যানেলের নব ঘোরালেই স্ক্রিনে ভেসে উঠে।


কোন মন্তব্য নেই: