“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৯ জুন, ২০১৪

একলা মেয়ের ছড়া












।।দেবলীনা সেনগুপ্ত ।।
ই মেয়ে
তুই বড় হলি যে
জানিস না তোর উড়তে মানা?
মেলিস কেন ইচ্ছে –ডানা?
টবে রাখা বেঁটে বনসাই
মেয়ে হবি ঠিক তেমনটাই

এগোবি না পেছোবি না
এক জায়গায় থাকবি স্থির
আটপৌরে জীবনটাকে
আটপৌরেই থাকতে দিস

রাজকন্যা নও তো তুমি
রক্তরং ও নয়কো নীল
ভালোমন্দ সেবাযত্ন
গণতন্ত্রের ধনরত্ন
সবই যাদের ইচ্ছাধীন

তোর জন্য টুকরো আকাশ
ইতিউতি নিষেধ বেড়া
তোর জন্য একলা ঘরে
নীল ইশারা লাল প্রহরা

আকাশ ভরা সূর্য তারা
জীবন- ছবি অন্ধকার
আইন-কানুন উতোর-চাপান
তোর বেলা সব নির্বিকার

কাজকম্ম পড়াশোনা
শিকেয় তোল বা চুলোয় যাক
মানুষ তো নস,মেয়েই শুধু
শরীরটুকু সামলে রাখ।

দু-পেয়ে ঐ শ্বাপদ যত
শানিয়ে নখ আর বাড়িয়ে জিভ
আসছে ধেয়ে ছোট না মেয়ে
জ্ঞা ন শূন্য দিগবিদিগ।

এইখানে আর থাকিস না
গ্রাম-শহর ছাড়িয়ে যা
একলা আকাশ নিজের রঙে
মনের মত রাঙিয়ে নে
এলোমেলো টুকরো জীবন
ভালবেসেই গুছিয়ে নে

এইখানে আর থাকিস না
মন যেথা চায় হারিয়ে যা
‘সীতা’ হলি ‘সতীও হলি
দেবী বলে পূজাও পেলি
তবুও দেখ ফক্কিকারি
‘মানুষ’ হতে পারলি না

‘মেয়ে’ হয়েই রইলি শুধু
‘মানুষ’.....হতে পারলি না.....

কোন মন্তব্য নেই: