“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪

নন্দিনী,তোকে...

(C)Image:ছবি















।।দেবলীনা সেনগুপ্ত ।।

ন্দিনী,তোর মনে পড়ে
শীত-মাখা রোদে
হেসে ওঠা সেই মাঠ - উঠান?
আচার –বড়ির গন্ধে মেশানো
নতুন বইয়ের সুঘ্রাণ?
সেই স্কুলবেলা
হুটোপুটি খেলা
হেসে কুটিকুটি অকারণ?
লাল-চোখ বা
লাল পেন্সিল
মন মানে না কোন বারণ।
নীল আকাশে
নিঃশেষে ওড়ে
পেটকাটা বা চাঁদিয়াল-
ভো-কাট্টা হলেই
ছুট্টে গিয়ে ধরি
পার হয়ে যাই ঘর-দেয়াল।
পরীক্ষা-শেষে
পুতুলের বিয়ে
ঘাস-পাতার বনভোজ,
মাঝে মাঝে আড়ি
খুনসুটি ভারি
আর সরস্বতী পূজোয় সাজগোজ।

জানি আজ তুই
মহা কেউকেটা
টিভি তে দেখি মুখ তোর,
জ্বলজ্বলে আলো
রঙ জম্‌কালো
তার পিছে তবু ব্যথা ঘোর..
তোর চোখ দেখে
আমি বুঝি নন্দিনী,
আমার মত তুইও ভালো নেই...
কত কিছু আছে
আমাদের কাছে
মন তবু আর হাসে কই?
অধরা সেই
সোনার খাঁচার
চাবি যে গেল হারিয়ে
নানারং যত
দিন সব মোর
তাতে রইলো না পোষ মানিয়ে
এখনও আকাশে
মেঘ করে আসে
বৃষ্টিও পরে রুমুঝুম্‌-
রামধনু শুধু
হারিয়ে ফেলেছে
রঙের বাহার—বিল্‌কুল.
বড় ইচ্ছে করে
তোর হাত ধরে
ফিরে যাই সেই স্মৃতিতে,
টুক্‌রো-টুক্‌রো
ছেলেবেলা দিয়ে
মালা গাঁথি বসে দুটিতে...।

কোন মন্তব্য নেই: