“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১২

তুমি থাকলেই


যে পাহাড়ে এসে মেঘগুলি সব টুকরো টুকরো হয়, ভেঙ্গে পড়ে খানখান হয়ে, সেই পাহাড়েই আমার বাস। সেই পাহাড়ি মেঘ যখন প্রচণ্ড শব্দে ভেঙ্গে পড়ে
আমার ঘরের চালে, তখন আমি তোমার কথা ভাবি। আজও ভাবছি। মেঘ, বৃষ্টি আর তোমাকে।
আর কাঁদবে না, আর ভালবাসবে না, আর বৃষ্টি হবেনা, আর ঘর ভাঙ্গবে না, এবার শুধু নিজের ঝড়ে পড়া দেখবে।
যেমন ভাবে ঝড়ে পড়ে আকাশ থেকে হাজার উল্কাপিণ্ড। সেই উল্কাপিণ্ডের হাত ধরে আমি শতাব্দী পেড়িয়ে চলে যাবো সেই আমার কাছেই। আকাশ নতজানু হয়ে দীক্ষা নেবে ভালবাসার।
আকাশের হৃদয় মানেই একটা ভাতের থালায় অজস্র ভাত। খেতে খেতে... খেতে খেতে তুমি আমার কথা ভাববে। প্রতিদিন, প্রতিবার, হবে স্খলন। যেমন প্রতিরাতে আকাশ থেকে কোন একসময় ঝড়ে পরে একটা উল্কা প্রচন্ড গতিবেগে। নিঃশব্দে কিন্তু অসংখ্য প্রানের মৃত্যু নিয়ে বারবার...
আকাশের কাছে নিজের ঠিকানা দিয়ে রাখবে। কে জানে সেই উল্কা শেষ পর্যন্ত এসে আশ্রয় নিল তোমারই কাছে। মন খারাপ হলেই ছুঁয়ে দেবে আকাশটা নরম করে আরেকবার। দেখবে আঁজলা বৃষ্টি তোমায় দিয়েছে সব, যা চাও তুমি।

আপাতত একটু সুখ। তাই বা আর পেলাম কই! অথবা একটা উল্কাপাত...। তাই বলি... তুমি থাকলেই মেঘ গুলি সব নেমে আসে পৃথিবীতে,
তুমি ডাকলেই ঐ মিনারটা ঢলে পড়ে একপাশে, তুমি বললেই আমি বেঁধে দিতে পারি দুনিয়াদারির গান
তুমি চাইলেই আমি এনে দিতে পারি পাহাড়ি মাটির ঘ্রাণ... তুমি থাকলেই...

আমার সব বদলে যায়, তুমি থাকলেই... শুধু থাকলেই... আমার...

1 টি মন্তব্য:

সুশান্ত কর বলেছেন...

মিত্র, ছবির সূত্র উল্লেখ করো।