“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১২

মিরালরিও

ভিক্তোরিয়া,
দূরের গোধূলি হাওয়া, আশ্বিন মাস,
উত্তরের সুগন্ধি হাওয়া, সমুদ্রের ঢেউ খেলানো
গর্জন খেলা করে গোলাপি বুকের সন্ধিতে

বুয়েনোস আইরেস শহরে
এক অসুস্থ কবির প্রথম উল্কাপাত

বিদেশী ফুলের গন্ধে মাতাল গোধূলি বধূ,
২০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে তাপমাত্রা,
নদী দেখে, মন খারাপের জানালায় বসে।

এই তাপমাত্রায় থাকতে থাকতে
পুরুষ নদীও নির্বীজ হয়ে পড়ে একসময়।

দীর্ঘ সমুদ্র যাত্রা শেষে তৃষ্ণার্ত
রবির নিঃশ্বাস পড়ে উত্তর গোলার্ধে।

প্লাতার জলে ভেসে যায় বিন্দু বিন্দু অজস্র হীরের টায়রা
বন্ধক রাখে ভালোবাসার প্লাতা'র কাছে।

ও! ভিক্তোরিয়া

সকাল আলোর ঝিলিক ঠোঁটে
শ্বেত পোষাক, নির্মেদ শরীর
স্নান শেষে শারদ সকাল, মাধবীরাত,
রহস্য সিন্ধুর ওপারে, ভিক্তোরিয়া।

স্বপ্নের বাড়ি 'মিরালরিও'

ভিক্তোরিয়ার পাথুরে মাটিতে মিশে যায়
কোপাই নদীর শান্ত ঠাণ্ডা শরীর।






কোন মন্তব্য নেই: