“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬


অপরাহ্নে

 ১

এখনো উত্তাল সুখে শরীর আনন্দ করে, দেখো ।
পুলকের ঢেউ ওঠে, ঢেউয়ের পর ঢেউ উঠে গলায় শরীর,
তরঙ্গ ছড়িয়ে যায় আনন্দের শয্যার উপরে,
বলিরেখাঙ্কিত যবনিকা ভেদ করে
সহসা দর্শন দেয় মদনের সুখদীপ্ত মুখ।
ফুলঝরা বসন্তের বিকেলে আবার
কোথা হতে ফুল ফোটে, কোকিলের ডাক শোনা যায়,
দীর্ঘ বেঁচে থাকবার কামনা ছড়িয়ে যায় প্রতি রোমকূপে ।

-------------------------------------------------------

অপরাহ্নে


সর্বাঙ্গ চাদরে ডেকে শুয়ে আছে ছাদের উপর।
উত্তুরে হাওয়ার শিহরণ, শুধু
মুখখানি ঢাকা নয় ।
হল্‌দে আলোর শেষ তাপটুকু শুষে নেবে বলে
আকাশে তাকিয়ে আছে ।
নীড়ে ফিরে যেতে যেতে বুলবুলি ডেকে বলে,
কেমন আছ ?
তোমার বারান্দার নিচেয় জবা গাছে যে বাসাটা
আমি বেঁধেছি সেদিন,
তাতে ডিম ফুটে শাবক হয়েছে।
কাল তাকে দেখে যেয়ো ।
শেষ কুটো মুখে নিয়ে চড়ুই বলল,
ভালো থেকো ।
নতুন বাঁধছি বাসা তোমার ঘরের আল্‌সেয় ।
কাল থেকে ডিম হবে ।
চুপি চুপি দেখে যেয়ো একবার ।
হলুদ সূর্য মরচে লাল হয়ে
দিগন্তের ওপারে যেতে যেতে বলে যায়,
আজকের গোধূলিই শেষ নয়,
ভোরের আলোয় এসো কালকে আবার ।
দেখা হবে নবারুণ আমার তোমার ।

 

কোন মন্তব্য নেই: