“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

এদেশের দামিনীদের


॥নীলদীপ চক্রবর্তী॥





















বৃথাই করে চেঁচামেচি সব আহম্মকের দল
মেয়েটি বড়ই বোকা, ভ্রূণে মরে গেলেই পারতো !

তোর মতো কত সদ্যজাতা পৌরসভার নালায়
ফেলে রাখা আছে আস্তাকুঁড়ে
জায়গা কোথায় এত?

যে কটা তবু ঘর পেয়েছে, গঞ্জনাময় পাওয়া-
মা পেয়েছে খুব বকুনি -
থাম্মা পিসির মতো 

এরপরেতে স্কুল  কলেজ আর অনেকখানি হ্যাপা
পাড়তুতো দাদা দূরতুতো মামা হঠাত্‍ -
লুকিয়ে আদর করতো !

দেখতে তোকে আসতো যত বোকা বোকা রাজপুত্তুর
জমি জমা নোট গয়নাগটি
এসব ভিক্ষে করতো !

গলির মোড়ে, অন্ধকারে মুর্গী পাঠার মতো
তোর মাংস অনেক মানুষ -
ঠুকরে খেতে চাইত

লজ্জিত যত শেয়াল শকুন রাজপথে মাঠেঘাটে
বিলুপ্তিরই পথ ধরেছে
একদম তোর মতো !

মেয়েটির কবর শ্মশান ভূমি, পুরো দেশটা জুড়ে
সংগ্রামী মেয়ে বড্ড বোকা
ভ্রূণে মরে গেলেই পারতো !




কোন মন্তব্য নেই: