“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১২

আবোল তাবোল



 গিলছি আমি সন্ধ্যেবেলার ক্লান্তিভোলা দিন, জলে ধোঁয়ায় তালগোল পাকিয়ে। পি এইচ স্কেল এই চড়ে তো এই নামে, প্রেয়সীর মান-অভিমান আর ভারতের দারিদ্রসীমা সূচকের মতো। শেয়ার বাজারের ফাটকাবাজি নয়। নিজের পাত্তি নিজেই সামাল দিই, রুইতনের টেক্কা কলমের ডগায় ঝিকঝিক করে। বেলা বোস-মীরা ঘোষ মরে ফৌত, বাবারা যা পায়নি তা আমি কোত্থেকে পাব? পাগলা কুকুরের লালা ঝরানো জিহ্বা আর বিলপারের এঁদোছেঁদো গলিতে রোজ কতো প্রেম জন্মায়-ডালপালা ছড়ায়, তবু ঘ্রাণ ছড়াতে পারেনা তোমাদের পাঁচতলা ফ্ল্যাটের মশা তাড়ানো বৈদ্যুতিক ভেপোরাইজারের মতো।

          এখানে ধূপ-ধুনো আছে, লেগে থাকে পূজো শেষের লাজুক আলতার রেশ। শীত শুরুর হেজে যাওয়া শুকনো নালা আছে, যেখানে মিশে আছে শস্তার কাঁচের চুড়ির টুকরো। আছে আমার মতো বেহায়া আশাবাদী পানাপুকুরের জোঁক। সিরিয়্যালের ফাঁকে কড়াইতে পাঁচফোড়ন দিতে যান প্রেমহীন অতৃপ্তির কার্ল জাং-এর জ্যান্ত স্পেসিমেন। আশাপূর্ণা মেগাসিরিয়্যাল চেপে আছে দাম্পত্যের হাজার ফাটল ঢেকে, ক্রিম-সাবান-গাড়ি-জুয়েলারি, স্তরের পর স্তর রকমারি।

            ফুরোলো দুনম্বর পেয়ালা, এখন দারিদ্র-আপসের গন্ধ উধাও। ফুরফুরে যৌবন মাতাল যেন বগলদাবার ডিওডোরান্টের মাংসল প্রেমের ডাক। ছুটে আয় লারা-বিপাশা দেখি কাঁহাতক উপত্যকায় বেড়ানো যায়। ছুটে চলুক রয়্যাল এনফিল্ড ঘন্টায় পাঁচশো মাইল। শীতে শান্ত হোক, আমার ফ্রয়েডীয় ইচ্ছেরা সব। 

৩টি মন্তব্য:

ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় বলেছেন...

বেশ লিখেছেন . সুখী সুখী মধ্যবিত্য মানুষের রোজনামচা .

নামহীন বলেছেন...

হ, ঠিক তাই। সুখে আছি বলেই দিনরাত ভূতে কিলোচ্ছে। কাঁঠাল পাকতে আর দেরি নেই...

সুশান্ত কর বলেছেন...

হা হা হা! ফাল্গুনীদা, এই নাটের গুরুকে আমি যদ্দূর বুঝেছি মলয়জ শীতলম...ক্ষুধার্ত প্রজন্মম! আপনি, গুরুজন। বুঝে গেছেন! :)