“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১২

তোমার একুশে














তটুকু সময় আমার প্রাপ্য ততটাই দেবে পৃথিবী আমায়। ঠিক সব ঋতুর শেষে আসে যেমন চৈত্র মাস।
আর আমার সর্বনাশ।
মিষ্টি রোদ্দুর চারিদিকে। একটা দলছাড়া হলুদ পাখী ক্ষণে ক্ষণে বলে যায় তোমার কথা।
তুমি নাকি ভূমধ্যসাগরের পারে দাঁড়িয়ে একা।
কোন ফুল কোথায় ফোটে, কোন পাখী কি গান গায়, শুনে লাভ কি বল তোমার!
আমারই বা কি ক্ষতি!

একটা জীবন সে তো গেছেই সেই কুড়িতে।
আরেকটা জীবন! এই জীবন ছেড়ে গেলেই স্বপ্ন দেখা ভালো।

আমার কাঠের উনানে কলমি শাক কিছু সেদ্ধ হচ্ছে। যেমন করে তোমার জীবন চলছে গত কিছু বছর। সেদ্ধ হতে হতে পাংশুটে তোমার মুখ।

চলো কালো গাভীনের দুধ মেখে দিই। ফিরে পাবে তোমার একুশের স্বাধীনতা।
চলো তোমার বিকেলটায় হলুদ মেখে দিই
অথবা শাল পাতায় করে ডিম খাই পিঁপড়ের
এরপর ঢলতে ঢলতে ফিরে যাই আমাদের একুশে

এরপর শুক্র সকাল
ছত্রিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় সেদ্ধ হোক আদিম উচ্ছ্বাস

কোন মন্তব্য নেই: