“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০

এ কোন অদ্ভুত চারণভূমি !

         
    
                    ।। আ,ফ,ম,  ইকবাল ॥ 
 
 
(C)Imageঃছবি


 
 
 
 
 
 
কৃত্রিম অন্ধকারে ছেয়ে আছে গ্রহের সবুজ উদ্যান  হিংস্রতার আগুনে পুড়ছে মানবিক সত্ত্বা  দেশ-দেশান্তরে, 
দাঁত নখ আঁচড় সক্রিয় শিকারী প্রাণীর মত   
করুণ করোনা মহামারীকালেও  
মৃত্তিকায় ভাসছে ছোপছোপ ধর্ষণের দাগ !  

প্রকৃতি যখন অপূর্ব পূর্ণিমা রাতে ঢেলে দেয়  
কলস কলস জ্যোৎস্না-  
ঝিরিঝিরি হাওয়ায় ঝিঁঝিপোকা গান ধরে  
প্রেমের তালে তালে,  
সেই অপরূপ রাতের নৈসর্গিক শোভা ম্লান  
করে দেয় যে সকল দৈত্য  
ঘাসগুলো করে দলিত-মথিত-  
তারাও বুঝি মানুষ ?

গাঁজার পাইপে শেষ টান মেরে  
জনহীন প্রান্তরে এরা কারা  
হুমড়ি খেয়ে পড়ে ফুলের রেণুর উপর  
ছুঁড়ে ফেলে কুসুমের দলামোচড়া ওড়নাখানি  
ঝোপের নিস্পাপ ডালে  
চাঁদের বুকে কলঙ্ক ঢেলে  
ছুড়ে ফেলে দেয় ছিন্নভিন্ন করে-  
অথৈ অন্ধকারে !

কী লাভ ধর্ষকের বিরুদ্ধে কবিতা লিখে ? 
ওদের তো সযত্নে লালন করে  
পেলেপুষে বড় করেছি আমরাই !  
ধর্ষক- সে যে আমার আপনার ভাই  
বাবা ছেলে অথবা স্বামী,  
পিসতুতো মাসতুতো পরমাত্মীয়  
নয় কি একান্তই আপন জন ?

কথা ছিলো রুখে দাঁড়াবো  
নগ্ন শিশ্নধারির বিরুদ্ধে  
আমি আপনি সবাই  
শশোধ নেবো হাতের  
কিংবা বিবেকের চাবুক মেরে  
কথা ছিলো ভাঙবো  
মুখোশ পরা মুখগুলোর ভাটিগান  
আফসোস- একাংশ ধরেছে আজ উল্টো তান  
গাইছে ধর্ষকদের স্তুতিগান   
কে করবে রক্ষা  
সমাজের মা বোন স্ত্রী কন্যাকে ?- 
সকল শকুন-সারমেয়দের কবল থেকে ! 
                              ১০-১০-২০২০ 

হাফলং, ডিমা হাসাও ।

কোন মন্তব্য নেই: