“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬

নারী

 ।। মনোজিৎ দত্ত ।।
(C)image:ছবি

















মি -
পৃথিবীর সবচেয়ে স্রোতস্বী নদী
তোমায় উৎসর্গ করলাম
তুমি -
দুঃখ ভাসিয়ে দিও
সবচেয়ে গম্ভীর পাহাড়
আজ থেকে তোমার
তুমি ওখানে সুখ এঁকে রেখো
আমার প্রিয় হলুদ পাখীটা
আজ তোমার নামে ছাড়লাম
ওর পাতলা নরম ঠোঁটে
তোমার স্বপ্ন গুঁজে দিও।
এর পর তুমি এসো ...
নারী জানতে চাইলো ... কোথায়?
ঐখানে -
যেখানে ... পাহাড়
নদীর সঙ্গে কথা বলে ... একান্তে
যেখানে আমার হলুদ পাখী
টুপটাপ ডুব দেয় নদীতে ...
নারীতো বিস্ময়ে হতবাক ...
তবে কেন নয় এখন?
পুরুষ হেসে উঠে ...
জানো না বুঝি ...
নারীরা সুখ-দুঃখ-স্বপ্নহীন
হলেই ... বেশী রমণীয় হয়
অতঃপর নারী আসলো
নদীতে ডুব দিলো
দুঃখ গায়ে মাখলো আবার ...
পুরুষ স্তম্ভিত ... একি!
নারী -
জল-রঙে ছল ছল হেসে উঠে
... সুখ স্বপ্ন তোমায় দিলাম
... দুঃখটা আমারই থাক
হারাবার ভয় নেই

কোন মন্তব্য নেই: