“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

বিসর্জনের পর

 ।। দেবলীনা সেনগুপ্ত।।















শূন্য মণ্ডপের খাঁচায়
লুটিয়ে থাকে সন্ন্যাসী রাত। 
 বিসর্জনের গন্ধ মেখে
হেমন্ত কুয়াশায় স্নান সেরেছিল
 যে কোজাগরী চাঁদ ,
কার্তিকের কাঙাল প্রদীপের সাথে
বহুদিনের ভাব-ভালবাসা তার।
এখন, উৎসবের মাঠে
নিশ্চুপ হাহাকার , 
আলোর ছায়ায় গড়ে ওঠে অজানা কাহিনী
খড়হীন কাঠামোয়।
 ছন্দসী ক্রীড়াময় ছুটে আসে যুবাশ্মরোহী
যুদ্ধের উপক্রমণিকায়-
তূণীরে সাজিয়ে  মহাতূণ
গোপন শরসন্ধানে।
যে যুদ্ধ অনিবার্য
বোধন ও বিসর্জনের গাথায়
নির্জন কবিতার মত সে যাপন
সুগভীর কথা বলে যায় ।
গড়ে ওঠে বিজয় তোরণ
অকথিত মোহন কারুকাজে
 শুরু হয় 
আগামী উৎসবের খোঁজ
উদ্বৃত্ত জীবনের আঁচে। 

( অন্যনিষাদ, ১০ নভেম্বর,২০১৬)

কোন মন্তব্য নেই: