“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

অভিমান


।। রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ ।।

 
(c)ছবি


তন টাকাটা চুরি করলো । তুমি কিছু বলবে না ?
-কী বলবো ? নিয়েছে তো তর ভাই । ভাইয়ের টাকা ভাই নিয়েছে । এতে বলার কী আছে ।
 

-বাহ । জিজ্ঞেস না করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেল । মদ গাঁজা খেয়ে অতগুলো টাকা উড়িয়ে দেবে । টাকাগুলো যে রান্নাঘরটা মেরামত করবার জন্য বেশি সুদে এনেছি । সে দিকে খেয়াল আছে ?
 

-আহ! বেশি বকবক করিস না । এখান থেকে সরে পড় । 

সুশীল আর কথা বাড়াল না । বুঝল এ সব কথা মাকে বলে লাভ নেই । সে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে রাতের অন্ধকারে মিলিয়ে গেলো ।
 

ঘড়ির কাটায় তখন ১০ টা । সুশীলের ছোট বোন রত্না বললো , মা তুমি বীনা দোষে দাদাকে বকলে । রতনের দোষ । অতগুলো টাকা চুরি করলো । তুমি কিছু বললে না ।
 

-কী বলবো, বল ? সুশীল শান্ত ছেলে । মা বকলে কিছু বলবে না । চুপ করে থাকবে । আর রতন জানোয়ারটা কে কিছু বললে তো বাড়িতে আগুন লাগিয়ে ছাড়বে ।
 

-তাই বলে সবসময় ...

ভোরের আলো চারধারে ছড়িয়ে পড়েছে । সুশীল রাতে বাড়ি ফিরেনি । সুশীলের অপেক্ষায় মা সারারাত উঠোনে পায়চারি করে কাটিয়ে দেয় ।সারা মুখে চিন্তার ছাপ । ছেলেটা না খেয়ে সারারাত কোথায় ছিল এসব চিন্তা তাকে জর্জরিত করছিল । এমন সময় সুশীলের বন্ধু শৈলেন দ্রুত দৌড়ে বাড়িতে ডুকলো । হাঁপাতে হাঁপাতে বললো ,-- মাসিমা, দ্রুত আমবাগানে চলুন ।
--কেন,হঠাৎ আমবাগানে ? কী হল ?
সুশীল আমবাগানে ফাঁসি দিয়েছে ।

কোন মন্তব্য নেই: