“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০১৩

অনন্তশয্যা


শীর্ণ চাঁদের শরীর থেকে উপচে পড়া আলোর
কাছে তোমার মৃত্যু ভিক্ষা করি আমি।
বনকুমারী দেবীর কাছে
ভিক্ষে করি একটা আস্ত সবুজ পাহাড়।

যে পাহাড়ের শরীর তোমায়
দেবে এক অনন্তশয্যা ফুলের গোছা

এরপর নামহীন, গোত্রহীন এক পুরুষ
তোমার কাছে ভিক্ষে চাইবে, হারিয়ে যাওয়া
পাহাড়ী নদীর তীরে গড়ে ওঠা সভ্যতার ইতিহাস

এরপর!
নিস্পাপ এক হৃদয় জন্ম নেবে ত্রিপিটকের পাতায়,
যাকে তুমি আগলে রেখেছ এতকাল।

সবুজ বনভূমিতে অসূর্যস্পর্শা আম্রপালি
এবং তোমার অলিগলি...
অন্তশলীলা এক নদীর ইতিহাস,
হলুদ আর লাল অনন্তশয্যা, আজ এলোমেলো।

কোন মন্তব্য নেই: