“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১

ঘোষিত যুদ্ধের প্রাক্‌-কথা

 ।।   সপ্তর্ষি বিশ্বাস ।।


 

(C) www.newsreaders.in/

 

 

দি জয়,পরাজয় সবই পূর্ব হতে নির্ধারিত, তবু

ডেকেছ খেলায় যদি, তবে, এ খেলা খেলব আমি

সম্পূর্ণ আমার নিয়মে।  প্রতিখানি ব্যাসকূট খুঁড়ে

তুলে আনতে বিন্দু বিন্দু করে তোমার প্রকৃত মুখ,

দুষ্টের পালন আর শিষ্টের খতম’ রাজনীতি

হয়তোবা একজন্ম চলে যাবে সক্কলের অগোচরে , তবে

অক্ষৌহিণী না হলেও সেনাদল আমারও রয়েছে

একদিন যারা ওই ‘বিশ্বরূপ’ পটছবি ছিঁড়ে

সমবেত যুযুৎসব ও জনতার জাদু-মুগ্ধ চোখের সম্মুখে

দেখাবে প্রকৃত মুখ, তোমার, হাঁ-করা, অবিকল কালীয়'র মতো।

এতদূর এসে যদি আমার সমস্ত সৈন্য গিলে খাও তুমি আর

কৌরব-পাণ্ডব-বেশি তোমার গুপ্তচর, সেনাদল, সংঘ, পরিবার

আর স্বয়ং সেবকরূপী মর্ষকামী মিলে খেতে পারো।

তবু জিতবে না । কেননা আমার সৈন্য ততদিনে ব্যাসকূট খুঁড়ে

পেয়ে যাবে সে ঠিকানা  যেখানে রাক্ষুসী-রাণী  আণবিক জালে

তোমার প্রাণের পদ্ম  আগলে বসে আছে।

সেই দুর্গমে যেতে আমার সৈন্যেরা ভয়ডর পাবেনা কেননা

এই যুদ্ধে তাদেরকে আমি  বেতন’, ‘বন্দুক’ কিংবা

ধর্মযুদ্ধ’ দেখিয়ে আনিনি।  নিজেই এসেছে তারা

জানাতে এ লব্ধ বারতা:

 জয়,পরাজয়, হায়, কিছুই পূর্ব হতে নির্ধারিত নয়।

 এবং তা হতেও পারে না’ ।

 

 

কোন মন্তব্য নেই: