“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০

অপত্য স্নেহ


  ।। সিক্তা বিশ্বাস ।।
     

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
ডিগবাজি খায় ঐ যে পাগল
বারবার করে চোখটি গোল! 
কোন খেয়ালে সাত সকালে
কেইবা আছে তা জানার তালে! 
হাসছে সবাই! বাড়ছে ভীড়! 
তবু নিশানা চ্যুত নয়কো তীর! 
পাচ্ছে ব্যথা! হানছে আঘাত! 
তবুও তদন্ত নেই দৃকপাত! 

হঠাৎ ওঠে ডুকরে কেঁদে... 
কি ভীষণ খাঁজ এই বাড়ির ছাদে! 
কাল বাছাটি গেছে যে পড়ে! 
চোখ বেয়ে জল ঝরেছে ধারে... 
ধারায় রক্ত পড়েছে ঝরে...
না জানি কি ব্যথা পেয়েছে সজোরে! 
যদিও শান্ত করেছি বহু কষ্ট করে
তবু পারিনি সারাতে তাঁর ব্যথাটারে! 
আমি তাঁর এ কেমন বাপ! 
পারিনি করতে তাঁর ব্যথার মাপ! 
পারিনি ঘুমোতে অশান্তির তোড়ে
তাই তদন্ত আজ বারেবারে। 
হে বিধি, রেখো আমার বাছারে  আদরে
কোনো বিপদে যেন না পায় তাঁরে, 
 পাগল বলে সবাই তুচ্ছ করে!
কেউ বোঝেনা বাপ যে আমি,
আমি ভুলি তা কেমন করে!!

*************************

দেখা যায় কত বিচিত্র অভিযান, 
কেইবা দেয় তার যথাযথ মান!
সমাজের এ কি পরিমাপ! 
পাগল কি আর হয় কা'রো বাপ!? 
আমরা সবাই ভবের ভবী! 
পাগল সে যে খাচ্ছে খাবি!
কে মাপে তাঁর ভাবের তাপ!? 
ভবের বিচারে এ এক বিষম চাপ! 

            *************

কোন মন্তব্য নেই: