“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০

ত্রিদিবকে নিয়ে কিছু কথা

 
প্রজাতন্ত্র দিনে ত্রিদিবের শিল্প

   

       ২৬জানুয়ারী ২০২০ !  সকালে স্কুলের প্রজাতন্ত্র উদযাপন অনুষ্ঠান শেষ করে ফিরতি পথে মোটর সাইকেল যেন নিজেই ঘুরে গেল নতুন স্টেশনের দ্বিতীয় গেটে । কচি কাঁচারা বিস্ফারিত চোখে এলোমেলো ভিড় করে আছে । অটো চালক কয়েকজন গুটখা মুখে পুরে ঢিলেঢালা মন্তব্য দিয়ে জানালো ‘রেল পয়সা খরচ করছে, এলেকশন এসে যাচ্ছে তো, কিছু তো লোক দেখানো কোরতে হবে ।’ সেই সঙ্গে ভিড়ে মিশে আছে বিভিন্ন স্কুলের কিছু ছাত্র ছাত্রী । একটু উঁচু বেদি ঘেরাও করে বিদেশি ঘাসেদের সদর্প শিশির মাখা উপস্থিতি । তাতে নৃত্যরত তিন বিহুআ, আবহমানকালের সংস্কৃতি লালিত ধারাটিকে বুকে আগলে রোদ ঝড় জল বৃষ্টিতে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারবদ্ধ। আর এর ঠিক পেছনেই আপাত সিমেন্টের পাঁচিলে শহরবাসীর জন্য এবছরের সেরা উপহার , ‘সুজলাং সুফলাং’ ! তেরঙ্গা নিয়ে আমাদের আবেগ আহ্লাদ ইতিপূর্বে নাটিকা, সিনেমা, কবিতা, আড্ডা এসবে প্রতিফলিত হয়েছে । কিন্তু কেন যেন আমার দেখার চোখ আমার বোধকে বললো, একি করেছেন শিল্পী! এতো নিজের চেতনাকে অতিক্রম করা, জনজীবনে, নদীমাতৃক রাজ্যের বহমানতায়, কৃষিক্ষেতে পুষ্টি কল্যাণ চিন্তায় এভাবে যে তেরঙা নেমে আসতে পারে, পারে মিশে যেতে, তা কি আগে দেখেছি!! এই কারু শিল্পের কাছে খোদ পতাকা কয়েক মুহূর্ত উন্মোচনের আগে পাশাপাশি নেমে এসে যেন তার দোসরকে সেলাম জানিয়ে ঊর্ধ্বে উঠে যাবার দাম্ভিক যাত্রাটি করার আদেশ নিতে এসেছে । ত্রিদিব, আপনাকে আর কি বলে সাধুবাদ জানাই, শেষ হবার পর এ কাজ তো আর আপনার থাকলো না, এ শহরবাসীর, সত্যি বলতে কি, অসমবাসীর বড় নিজস্ব, বড় আপনার সম্পত্তি হয়ে গেল । তবু ত্রিদিব, আপনার সম্মানে একবার টুপি খুললাম । আপনি সত্যিকারের ভারতবাসী, অসমবাসী খিলঞ্জিয়া । কারণ জাতি মাটি ভেটির প্রতি ভালোবাসার চূড়ান্ত টান না থাকলে এ কাজ আপনাকে দিয়ে হতো না !
          প্রজাতন্ত্র দিনের টান টান গর্ব নিয়ে আমি মোটর সাইকেল স্টার্ট দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে !

  ‘মনের কথায়রবি ঠাকুরের চিত্রজগত নিয়ে ত্রিদিবের কাজ দেখে ....

         সোজা কথায় সাধারণ মানুষের ব্যাপারটা এই, 'আমাদের সময় নেই'! যদিও এক অত্যন্ত গুণীজন আমায় বলেছিলেন 'তার কাছেই সময় আছে, যিনি খুব ব্যস্ত' ! যাক গে সে কথা ! বলছিলাম , সাত মিনিট তিরিশ সেকেন্ড ভিডিওতে রবীন্দ্রনাথের চিত্রশিল্প তুলে ধরা যে একপ্রকার দুঃসাধ্য তা শিল্পী মাত্রই অনুভব করেন । কিন্তু ত্রিদিব সেই দুঃসাহস করে দেখিয়েছেন শুধু বলা ঠিক নয় , বলা ভালো যারা পেইন্টিং বা চিত্রকর্ম এসব বোঝেন কম , তারাও ভিডিওটি দেখে রবি ঠাকুরের তুলির কারিগরির অ আ ক খ টুকু ধারণা করতে পারবেন । লিখে, বলে, কম্পিউটার গ্রাফিক্স করে, পরিবেশন করে ত্রিদিব তুলে ধরলেন রবীন্দ্র সাহিত্যের ওই পারে গিয়ে কবি যে অন্য একটি জগৎ রচেছিলেন তার হদিস । যারা ত্রিদিব দত্তের চ্যানেলে নতুন তারা বোধয় জানেন ত্রিদিব নিজেও এক সাধক চিত্রশিল্পী, এবং এই কথাটি একটুও বাড়িয়ে বলা নয় । ক্যানভাস ও আঁকার খাতা ছেড়ে ত্রিদিবের তুলি নগর-প্রাচীরও আলোকিত করেছে বহুবার । শহরের বহু জনপদ তো সেই কথাই বলে । আর আরেকটু বলার কথা হচ্ছে, যারা আমার কথা শুনে ভড়কে যাবেন বা আমায় উন্মাদ বলে ভাবতে চাইবেন , চান, কিন্তু আমি বলি কি রবি ঠাকুরের নিজস্ব চিত্র-দুনিয়া থেকে ত্রিদিবের ছবি আঁকার জগৎটিও কোন মঙ্গল গ্রহের কাছাকাছি নয়, বরং যেমন রবি তাঁর কিরণে আমাদের পুষ্টি বর্ধন করেন, তেমনি ত্রিদিবের শিল্প কর্ম সকল স্তরের (হ্যাঁ, শুধু বোদ্ধারা নন, অবোদ্ধাও) মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে , প্রাণের আরাম এনে দেয় চোখের দুয়ার দিয়ে ! বলার এইটুকুই !

 হীরক রাজা, করোনা ও ত্রিদিব


তিনসুকিয়া শহরে মনে হচ্ছে প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠান দেখলাম । এনিমেশন ! না না তা তো মনেই হয়নি মনে হচ্ছে স্টেজ প্রোগ্রাম ! দেখছি ! ত্রিদিব আপনি চালিয়ে যান, আপনি শুধু আমাদের নয়, আপনি সমগ্র রাজ্যের গর্ব!

 

৫টি মন্তব্য:

বরুণ বলেছেন...

ত্রিদিববাবু আমাদের গর্ব ... ওনার কাজের মান খুব উন্নত ...

বরুণ বলেছেন...

ত্রিদিববাবু আমাদের গর্ব ... ওনার কাজের মান খুব উন্নত ...

Barun বলেছেন...

ত্রিদিববাবু আমাদের গর্ব ... ওনার কাজের মান খুব উন্নত ...

Barun বলেছেন...

ত্রিদিববাবু আমাদের গর্ব ... ওনার কাজের মান খুব উন্নত ...

Barun বলেছেন...

ত্রিদিববাবু আমাদের গর্ব ... ওনার কাজের মান খুব উন্নত ...