আবার এসেছি ফিরে এই কুশিয়ারার তীরে
স্মৃতিমাখা রজনীর রজনীগন্ধা হয়ে,হাসনাহেনার মত গন্ধ ছড়ায়ে চারিদিকে -
ভোরের দিবাকর হয়ে সোনালি আভা দিয়ে
আবার এসেছি এই খাল, বিল, হাওর ভালবেসে;
হয়তো এসেছি বুরো ধানের মিষ্টি-কাঁচা গন্ধের টানে
কিংবা রাখাল ছেলের বুকফাটা গান শুনব বলে
এসেছি আবার অম্বুবিম্বসম ক্ষণিকের বিরহ কাটিয়ে
বাংলা মায়ের সবুজ শ্যামল রূপ দেখব ভেবে।
কাক, কোকিল, শালিক, পেঁচা, বক আর মাছরাঙা -
দেখব কেমন আছে ওরা এই ভবে,
অথবা রুই, কাতলা, বোয়াল, চিংড়ি আর কই পুঁটি -
কীভাবে সেজেছে ওরা ধনীর খাবার পাতে
সুস্বাদু রেসিপির গন্ধে দালান যাবে ভরে,
ক্ষুধার্ত পথিকের মত আমারও জিভে হয়তো আসবে জল;
অথবা দেখব নাক টিপে বাবুরা যাচ্ছে চলে
কোন পথধারে পর্ণকুটিরে
পচা সিদল-শুকটির গন্ধ পেয়ে।
অথবা দেখব হতাশার বুকে
শুয়ে আছে ভগ্ন ফুটপাতে
অর্ধনগ্ন কোন কঙ্কালসার রিক্সাওয়ালা -
বস্তিতে তার অভাবের সংসার নিভৃতে কাঁদে।
তাইতো আশার প্রদীপ নিয়ে এসেছি আবার
এই নিভৃত নিকুঞ্জ মাঝে তব কাছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন