“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

আবার এসেছি ফিরে



বার এসেছি ফিরে এই কুশিয়ারার তীরে
স্মৃতিমাখা রজনীর রজনীগন্ধা হয়ে,
হাসনাহেনার মত গন্ধ ছড়ায়ে চারিদিকে -
ভোরের দিবাকর হয়ে সোনালি আভা দিয়ে
আবার এসেছি এই খাল, বিল, হাওর ভালবেসে;
হয়তো এসেছি বুরো ধানের মিষ্টি-কাঁচা গন্ধের টানে
কিংবা রাখাল ছেলের বুকফাটা গান শুনব বলে
এসেছি আবার অম্বুবিম্বসম ক্ষণিকের বিরহ কাটিয়ে
বাংলা মায়ের সবুজ শ্যামল রূপ দেখব ভেবে।
কাক, কোকিল, শালিক, পেঁচা, বক আর মাছরাঙা -
দেখব কেমন আছে ওরা এই ভবে,
অথবা রুই, কাতলা, বোয়াল, চিংড়ি আর কই পুঁটি -
কীভাবে সেজেছে ওরা ধনীর খাবার পাতে
সুস্বাদু রেসিপির গন্ধে দালান যাবে ভরে,
ক্ষুধার্ত পথিকের মত আমারও জিভে হয়তো আসবে জল;
অথবা দেখব নাক টিপে বাবুরা যাচ্ছে চলে
কোন পথধারে পর্ণকুটিরে
পচা সিদল-শুকটির গন্ধ পেয়ে।
অথবা দেখব হতাশার বুকে
শুয়ে আছে ভগ্ন ফুটপাতে
অর্ধনগ্ন কোন কঙ্কালসার রিক্সাওয়ালা -
বস্তিতে তার অভাবের সংসার নিভৃতে কাঁদে।
তাইতো আশার প্রদীপ নিয়ে এসেছি আবার
এই নিভৃত নিকুঞ্জ মাঝে তব কাছে।

কোন মন্তব্য নেই: