“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৩

তুলসী সাঁও

##

যে পথ দিয়ে হেটে যায়
কবি, সে পথ দিয়ে হেটে যায়
আজ দীর্ঘ  মিছিল।

যে সভ্যতা যত্নে তৈরী করেছিল পিরামিড
আজ সেই সভ্যতা ভেঙ্গে খান খান।

এরপরেও বলবে বেঁচে আছি,
ভালোবাসা আছে!

##
গত কদিন ধরে
সুভদ্রার রথের জং
তুলছে কিছু মানুষ।
ঘোড়া গুলির গায়ে লেগেছে সাদা রঙ।

পিচগলা রাস্তায়, নরম হাতে সাদা রেখা এঁকে,
দিক ঠিক করে দিচ্ছে তুলসী সাঁও,
ফোস্কা পড়া এই হাতেই রাতে চুমু খায় পৌরসভার পারিষদ
এরপর বিক্রি হয়ে যায় গণতান্ত্রিক শরীর
সুগন্ধি সাবানের বুদবুদে সমাজতন্ত্রের স্লোগান
গাল দেয় শহীদ মিনার। সহ্য করে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস।

এরপরেও বলবে ভালো আছি!
কিছুই শেষ হয়ে যায়নি!

##
কোর্টের কাগজটা এখনও রান্নার গ্যাসের পাশেই
রাখা আছে, সই করে দাও
নচেৎ টিপ দাও,
এটাও না পারলে কপালের টিপটা
সেঁটে দাও। ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়ে প্রমান করে দেব
তোমার ঘামের গন্ধ, এটা আমার দেয়া নয়

প্রমান করে দেব সামাজিকভাবেই তোমায় বিক্রি করেছিল
তোমার বাবা,

####
আজ আমি আস্ত সমাজতত্বকেই নোটিস পাঠাবো।
আদালত কাল রাতে তোমার সাথে ঘুমোবে না,
আদরও করবে না, ভাত কাপড় দেবে না।

ভাঙ্গা পিরামিডটা লীজে নিয়েছি,
বিছানার চাদরটা সমাধিস্থ করবো বলে

সেদিন রক্তাক্ত হবে গণতন্ত্র
মেঘ লিখবে কবিতা, আর তুমি বাসর জাগবে
রাতভর।
পরদিন ভোট, বঙ্গোপসাগরের সরকার নির্বাচন।

কোন মন্তব্য নেই: