“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৩

তুমি ছুঁয়ে দিলেই ...


বটের ঝুড়ি ধরে চলে যাও মেঘেদের কাছে।
দেখবে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে মেঘবালিকা

তুমি এমনটাই,
ছুঁয়ে দিলেই ঝরে অসংখ্য আকাশ মাটিতে

তুমি ছুঁয়ে দিলেই মেঘ ঝরে পড়ে বৃষ্টি হয়ে
তুমি ছুঁয়ে দিলেই ঈশ্বর হয় রাহুমুক্ত
তুমি ছুঁয়ে দিলেই আজানের সময় হয় অসময়ে

ছুঁয়ে দিলেই স্খলন শুরু হয় ধানী জমির
সূর্যমুখীর ক্ষেত ভিজে যায় ধূতরা ফুলের কষে
শুরু হয় নতুন সৃষ্টি অথবা অগ্নুৎপাত
লাভাপথে জমে যায় অজস্র বরফ

হেসে ওঠে ইন্ডিয়া গেইটের তাক করা রাইফেল

চিতা থেকে জেগে উঠেন রবীন্দ্রনাথ
রাইটার্সের রঙ হয়ে যায় নীল

তুমি ছুঁয়ে দিলেই ... ফুল ফোটে, পাতা ঝড়ে
নুইয়ে পড়ে লজ্জাবতী

তুমি ছুঁয়ে গেলেই রোদ্দুর, অথবা বৃষ্টি, সকাল অথবা বিকেল


তুমি না থাকলেই সব বেসামাল অথবা শব যাত্রার গেঁদা,
খই ছড়ানো পথে সিলভার কয়েন।
জলহীন মঙ্গল আর চাঁদের শরীর, মাটি
এবং আমার অনিদ্রা, ভেজা ছাই অথবা ফ্রেমে রজনীগন্ধা।

কোন মন্তব্য নেই: