“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৩

ফর্মালিন



মাথাটা কে ব্যাবচ্ছেদ করে মিউজিয়ামে রাখবো ভাবছি
কোন কাজে লাগবে না জানি

হৃদয় দিয়েও বোঝাতে পারিনি,
ভালোবাসি তোমায়।

শিরচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তাই।

ফর্মালিনের শিশিতেও
তোমারই নাম সেঁটে যাবো
নিহত চোখের মণিতে বিঁধে যাবো তোমার
হারিয়ে যাওয়া কানের দুল

হৃদয় অক্ষত থাকবে সেদিনও,
হেসে উঠবে তোমায় দেখে আমার পাহাড়ি পাখি,
হরিণ ছড়াবে সুগন্ধ, ফুলেরা বিছিয়ে দেবে বিছানা,
ঝর্ণা হবে শান্ত, পাহাড় দাঁড়াবে মাথা তুলে


যেদিন তুমি যাবে আমার শিরচ্ছেদ দেখতে
লংতরাইয়ের সবুজ গালিচা ধরে, তোমার আঁচল এলোমেলো হবে,
নতুন পাতা ছুঁয়ে যাবে তোমার হাত, পায়ের পাতা,
ঘাস জানবে শুধু তোমার অন্ধ কুঠুরির রহস্য

কোন কবির মিউজিয়ামে সেদিনও অকারনেই ছুঁয়ে যাবে বসন্ত
এখানেই ছিল কবির আস্ত পৃথিবী আর তুমি, শেষ কয়েক দশক।
এবং আজ

যদি ভুলক্রমেও ছুঁয়ে দাও একবার!

তাই, মাথাটাকে ব্যাবচ্ছেদ করবো ভাবছি।
হৃদয়টা রেখে দেবো অক্ষত, তোমারই জন্যে।

কোন মন্তব্য নেই: