এবড়ো খেবড়ো চাঁদকে দেখলে হাঁসফাঁস করে আকাশের শরীর।
গুরুপূর্ণিমার চাঁদ যেন বেশ্যার উলঙ্গ যোনী।
গান্ধির মাথা ছুড়ে দিয়ে এই পৃথিবীর মানুষ, উল্লাসে দখল নেয় নিজের জন্মদ্বার।
পিতার অশৌচেও বীর্য স্খলন হয় পুরুষের।
অনেকদূরে কোথাও শোনা যায় গুরু পূর্ণিমার আরতি।
আজ ক'দিন আমার পাহাড়ের চাঁদ অসম্ভব গম্ভীর। আস্কারা দেয় না আমার প্রেমকে। আসলে অহংকারি হয়ে উঠেছে খুব। হয়তো কোন অভিযোগ বা অভিমানও থাকতে পারে। অনেক পড়ে বুঝলাম দেমাকি হয়েছে। রমজান মাসের চাঁদ নাকি বেশ অহংকারী আর সুন্দর!
ভরা বর্ষায় গোমতীর বুক উপচে গড়িয়ে পড়ে হলুদ সালদুধ। নরম সবুজ রঙা শাড়ির আচল দিয়ে কোনমতেই ঢাকা যায়নি উদোম নদীর গাভিন শরীর।
কে জানে কবে পেট বাজি রাখল, পোয়াতি হল!
আকাশের আজকাল অসহায় লাগে চাঁদের ছায়া নদীর বুকে পড়লে। অভিমানে উথলে ওঠে নদীর ঠোঁট। চেপে ধরে নিজের গভীর নাভিমূল। নদীর সব গোপন কথা নাভিমূলে গচ্ছিত।
খারচি পুজা শুরু হলে গোমতীর রূপ যেন ঠিকরে পড়ে। খারচি'র প্রথম দিনে বৃষ্টি হবেই।
শ্রাবণের স্পর্শ পেয়েই লাল হয়ে ওঠে গোমতীর গাল। আকাশ থেকে ঝড়ে পড়া বৃষ্টি ফোঁটা
গড়িয়ে পড়ে গোমতীর বুকে। এরপর আস্তে করে নেমে যায় নিচের দিকে কোন সমুদ্র শরীরের প্রতীক্ষায়।
নুন বালিতে মেদ জমেছে সমুদ্র পেটে।
আজ চাঁদ নেই আকাশে। গ্রাস করেছে মেঘের দল। পৃথিবীর রক্ষিতা, আকাশের ঘরণী আমার চাঁদ।
হিজড়ে সমাজে মৃত্যুর পর শব নিয়ে চলে আনন্দ উল্লাস। যেমনটা হয় চাঁদের সাথে।
পূর্ণিমার রাতে রুপ থাকলে মনে ধরে, অমাবস্যায় ঘোমটা তুললেই বেড়িয়ে আসে হলুদ শরীরের নীচে
ফুলে ফেঁপে থাকা নীল স্তন।
অমাবস্যা চলে যায়, ধকল শুকোতে সময় লাগে।
আকাশে নিলাম হোক দ্রৌপদী। বাজি রাখবো নিষ্পাপ চোখ। তাকাবো না আর চাঁদের দিকে।
1 টি মন্তব্য:
valo laga........
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন