“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৬ মে, ২০১২

কাঁটাবন

বার বারই ভাবি যথেষ্ঠ হয়েছে  আর নয় --সঙ্গে সঙ্গে পাঁজরের তলায় একমুখ উগরে লাভা,  চোখ পাঁজরের ভেতরে সেঁধিয়ে ছটফট  , শিরাগুলো টান টান ,দপ দপ কপালের রগ্‌ , এক টুস্কিতে সারা গা বেয়ে নেমে আসবে রক্তের ধারা , অথচ কি আশ্চর্য মন থেকে সে তো বৃষ্টিতে ভিজতেই চেয়েছিল , ভিজবে বলেই ধেয়ে আসা অঝোরকে কখনও জড়িয়ে ধরেছে কখনও পাশ কাটিয়ে গেছে।
 আবার ঈশ্বরকে যত আকড়ে ধরতে চেয়েছে বার বার ঝড়ের ঝাপটায় দূরে সরেছে , আস্তে আস্তে ভীষণ পর মনে হয়েছ  তাঁকে , যত দিন গেছে শয়তানের সঙ্গেই ভাব  হয়েছে , অন্তত পক্ষে তাঁর একটি স্ফটিক চেহারা আছে ,বাকা আঙ্গুলে ঘি তোলার দর্শন  নেই ,সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলে দৃঢ় ভাবে , নাম ভাঁড়িয়ে নিয়তি নিয়তি খেলায় মানুষকে দূরে ঠেলে বসে মজা দেখেনা ,  ঈশ্বরের কাছে কোন পাকা হিসেবও নেই , যুক্তি  দিয়ে বোঝাতে পারবে না তার খেলার খতিয়ান ,কেন বৃষ্টির বদলে রক্ত  ! ভারি মহানের বড়াই !
আবার ঢের হয়েছে বাপু  আর নয় বললে তো সে তোমার পিছু ছাড়বে না বার বারই বাড়িয়ে দেবে কাঁটা সহ একটি  ডাল , রক্তাক্ত তোমার হাত , ঘেমে উঠবে তুমি রক্ত চানে , তোমায় নিদান দেবে বৃষ্টি তো সবার জন্যে নয়,  চণ্ডী তৈরি করার  খেলায় অন্নপূর্ণার  হার তো হবেই  ।
একটি সোজা আলপথ ধরে যতই  এগোও পথের পাড়ে জরি চুমকির সালমা কাজের জন্যে ক জীবন অপেক্ষা করতে হবে তা কোন খেরোর খাতায় লেখা নেই ;নিরেট লাল সুতোয় বোনা আল ধরে ছুটে চলা অন্তহীন ...।

কোন মন্তব্য নেই: