“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২

স্বদেশ আমার

।। জাহিদ রুদ্র ।।








এখন আর কিছু ঠিক রইল না 

যতবার চললাম মানুষ হয়ে ওঠার রাস্তায়

অমানুষ হয়ে গেলাম টের পাওনি

তুমি টের পাওনি বলে, 

অর্ধমানবের মতো শিম্পাঞ্জির খেলা দেখে হাততালি দাও

তারও দুঃখ আছে, মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি 

যে সাদা ফানুস উড়িয়েছিলে, সুতোয় বাঁধা 

দু একটা গেরুয়া ও সবুজ রং এর ও ছিল 

ওরা যে এক একটা মরা লাশ -- তা কি জানতে ?

 

প্রিয়তমা, তুমি টের পাওনি বলে

উদাসীনতা আমাকে অমানুষ করে তুলেছে

তোমার সম্মানে মৌনতা নিয়ে লালকেল্লা

তার প্রতিটা কিলায় লাইভ টেলি-কাস্ট চালায় 

বিলকিসরার স্বাধীনতা

গোধরা কনসাইন্টমেন্টে!

 

প্রিয়তমা, জানি তোমার গলা শুকিয়েছে 

মহোৎসবের অমৃত পানে

আজাদী, জল জীবন কেড়ে নেয় বিনা দ্বিধায় ---

মন্বন্তর থেকে ছিয়াত্তরতম স্বাধীনতা

ফুল এপিসোডে ফারাক অবশ্যই

ক্ষুধা মানুষ খেয়েছিল আর আজ রাজনীতি জীবন।

 

হোক না খোলা সব পতাকা

একবার তোমার মুখে হাসি দেখে যাই প্রিয়তমা ,

লিখা হোক যত মহাসভা সংবিধান 

উড়ুক যত ধর্ম পতাকা 

শিকল ভাঙ্গবে স্বদেশ আমার ।

 


কোন মন্তব্য নেই: