শর্ত ছিল
জীবন্ত কবিতা নিয়ে আসলে প্রস্তাব গ্রহণ করব
প্রান্তিক কবিদের দিয়ে শুরু সব কবিকে বলেছি
স্থানীয়রা বলল,
আমি এখনো চেষ্টা করে জীবন্ত কবিতা লিখছি।
বিদেশীরা বলল,
কবির জীবন্ত কবিতা নেই।ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করো
মৃত মানুষকে জীবিত করা সম্ভব!
আমি চেম্বারে ধাক্কা দিলাম আর ভেতর থেকে একটা আওয়াজ হল-
জীবন্ত কবিতা নেই, ফ্রিজে আছে জীবন্ত হৃদয়
তুমি এটা দেখতে পারো।
আমি অসহায় হয়ে মন্ত্রীকে বললাম,
স্যার, আপনি জীবন্ত মানুষ বিক্রি করেন
একটি জীবন্ত কবিতা বিক্রি করবেন?
- ধুর! ছাই! আমি শুধুমাত্র জীবিত দেশ বিক্রি করি
জীবন্ত নারীদের কারখানা আছে বলে ব্যবসায়ীরা
নারী কবিতা থেকে আলাদা নয়।
সবার কাছে গেলাম
কোম্পানির মালিক থেকে দেশের মালিক
জীবন্ত কবিতা পেলাম না
তাই এসব বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন
চরের জমি রন্টুর ছেলে মন্টুর দখলে
শোকে আমার বাবা লক্ষীবাজার রোডে নৈশ প্রহরী হিসেবে চিৎকার করে বললেন--
আমি জেগে আছি...সবাই ঘুমাতে যান।
দুঃখের গাড়িতে উঠে বিষণ্ণ বাতাস নিয়ে ফিরলাম
একজন পোস্টম্যান এসে আমাকে একটা চিঠি দিল
আমি দুঃখিত নই, কিন্তু আমি একটি জীবন্ত কবিতা পেয়েছি
কবি জীবন্ত কবিতা লেখেন না
আমার দেশের মৃত তারারা লেখে জীবন্ত কবিতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন