“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৯

মনের নাম মহাশয়

।। অভীককুমার দে।।

মনে করি, বিদ্যুৎ আছে। আমি ঘুমাতে এসে বাতিগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। এখন এসময় চারদিকে অন্ধকার, তাই দেখছি না; যদিও চোখ খোলা আছে।

মনে করি, যেহেতু রাত, সূর্য নেই, উত্তাপও নেই। রাত মানেই নীরব, নীরব মানেই নিয়ন্ত্রিত অস্তিত্বের নির্বোধ অবস্থান। এখানে একেকটি স্বাধীন লাশ, তাই গোলযোগ নয়।

মনে করি, অন্ধকারের ঢলে শরীর অনিচ্ছাকৃতভাবেই প্রবাহিত। চোখ বন্ধ করা যাক। তারপর নাগিন নৃত্যের মুদ্রা নিজস্ব বিছানায়। ধরা যাক, প্রতিটি রাতের নির্ঘুম যাপনবিধি ঘুম নগরীর দরজায়, মিলেমিশে স্বপ্নের কোলাজ।

মনে করি, বিদ্যুৎ চমকাবে এক সময়। আপাতত 'চোরের কিল মতে মতে' খাওয়া যাক। যেহেতু বোবার শত্রু নেই, সেহেতু 'সুখের ঘুম' বলে অভিনয় হলে ক্ষতি কি ?

মনে করি, এই শরীর ঘামে ভিজে যায়নি, বরং ধরা যাক সুখানুভূতির অতিরিক্ত অশ্রু নিষ্কাশন পথ খুলে রেখেছে লোমের গোড়া।

কোন মন্তব্য নেই: